নেত্রকোণা: জেলার বারহাট্রা উপজেলার সীমানা ঠাকুরাকোণা ব্রীজ সংলগ্ন কদম দেউলী এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র মুর্যালে/তোরণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও বারহাট্রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছবি অবশেষে অপসারণ করলেন বারহাট্রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাঈনুল হক কাসেম। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত তোরণে/মুর্যালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছবি থাকায় তা নিয়েও নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, গত ১০ডিসেম্বর শুক্রবার সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.আশরাফ আলী খান খসরু এমপি মুর্যাল/তোরণ দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ওই স্থাপনার একপাশে জাতির জনকের ছবি সম্বলিত মুর্যাল/তোরণ ছিলো এবং আরেক পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু’র মুর্যাল/তোরণে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাদের ছবি অপসারণ করেছেন কিন্তুু বঙ্গবন্ধু’র কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির নিচে দেয়া রয়েছে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.আশরাফ আলী খান খসরু এমপি এবং বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাঈনুল হক কাশেমের।
এনিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বারহাট্রা উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন- পরম শ্রদ্ধেয় সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুহাম্মদ মাঈনুল হক কাসেম ঘোড়া মার্কা নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, সেই সঙ্গে মুহাম্মদ মাঈনুল হক কাসেম টি.সি.বি থেকে পৌনে তিন কোটি আত্মসাৎ করার অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক চার্জশীটভূক্ত আসামী। যার মামলা নং-৪/১৫ কোর্ট নং- ১০, ঢাকা বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। একজন বিদ্রোহী নেতা ও দুদক মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি কি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ছবিতে তার ছবি সম্বলিত মুর্যাল/তোরণ নির্মাণ করে। তাহলে কি? শ্রদ্ধেয় নেত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে তার ছবি দিয়ে মুহাম্মদ মাঈনুল হক কাসেম তার দূর্নীতি আড়াল করতে চান।
এব্যাপারে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ মাইনুল হক কাসেম বলেন, এটি মূলত শিল্পীর ভুল ছিল। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর ছবি এখানে দেয়া হয়েছে তাই আমাদের ছবি সরিয়ে নিয়েছি। তবে একপাশে শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্যপাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ আমার ছবি দেয়া থাকবে। আগের ছবি সরিয়ে এভাবেই নতুন করে দেয়া হবে।’
তিনি আরও জানান- রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশঃবত হয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করছেন।
আগামীনিউজ/ হাসান