লক্ষ্মীপুরে ১৩ বছর যুবলীগে দায়িত্ব পালন করা জিকু এখন অবহেলিত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২২, ২০২১, ০১:৪০ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরঃ জেলার সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামের নুর আলম জিকু ১৩ বছর যুবলীগের দায়িত্ব পালন করার পর থেকেই এখন রাজনৈতিতে অবহেলিত। আওয়ামীলীগ সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার পরও সেই পায়নি কোন পদ পদবী। বিভিন্ন সময়ে হাইব্রিড ও গজিয়ে উঠা নেতারা যুবলীগে স্থান পেলেও সাবেক এই ছাত্রনেতার ভাগ্যে তা জুটেনি।

নুর আলম জিকু সম্প্রতি জেলা কমিটিতে স্থান পেতে কেন্দ্রিয় কমিটির কাছে তার জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। যার সিরিয়াল নং-১৭ বলে জানা গেছে। নুর আলম জিকু বলেন বিগত ২০০১-২০১২ সাল পর্যন্ত তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ আহবায়ক পরে সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি এবং জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

পরে কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার যুবলীগে স্থান পাওয়ার ভাগ্য জুটেনি। অথচ এই নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ এলাকার সুপরিচিতি থাকার পরও তাকে যুবলীগে টেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 

জেলা কমিটি সাবেক আহবায়ক পদে সাইফুল ইসলাম পলাশ ও যুগ্ন আহবায়ক পদে সৈয়দ আহমদ পাটোয়ারী থাকাকালে জিকু জেলা কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগে দায়িত্বে ছিলেন। পরে সালাহ উদ্দিন টিপু আহবায়ক ও পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নুর আলম জিকু আর যুবলীগে স্থান পায়নি। ইউনিয়নে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পরও মৌখিক ভাবে তাকে বাদ দিয়ে সভাপতি পদে ভোটে পরাজিত আহমদ আলী সুমনকে সভাপতি করা হয়।

পরে রুবেল সানি এবং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলুর ভাই অনুপম হুছাইন কে দায়িত্ব দেন সাবেক জেলা কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু। ওই কমিটির অনুপম দায়িত্ব পালন করছে যদিও শুনা যাচ্ছে তিনি বর্তমানে কানাডা অবস্থান করছে।

এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রনেতা নুর আলম জিকু সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুর হাত ধরে ঢাকা জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগে হল শাখা দায়িত্ব পালন করি। পরে মাস্টার্স শেষ করে এলাকায় চলে আসি। ২০০১-২০১২ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন যুবলীগ ও জেলা কমিটির সদস্য দায়িত্ব পালন করি।

কিন্তু যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ওমর ফারুক চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি অবহেলিত। সম্প্রতি বর্তমান যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দের আমার জীবনবৃত্তান্ত জমা দেই। আমি কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের দিকনির্দেশনা আগামীতে এগিয়ে যেতে চাই।

যদি তারা আমাকে যোগ্য মনে করে তা হলে জেলা কমিটিতে স্থান পাবো। আমি ভবিষ্যত সফলতার জন্য সকলের কাছে সহযোগীতা ও দোয়া চাই।

আগামীনিউজ/নাসির