শিকারীদের জালে শীতের অতিথি পাখি

রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৫:০৯ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

পটুয়াখালী: পর্যটন নগরী কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সাগরের বুকে জেগে উঠেছে চর বিজয়। পাঁচ হাজার একর আয়তনের এ চরের অধিকাংশ এলাকা বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে থাকলেও শীত মৌসুমে জেগে ওঠে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পর্যটক ও পর্যটন কর্মীরা এই চরে আসেন এবং এটির নাম দেন ‘চর বিজয়’। 

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে জেগে ওঠা চর বিজয়ে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি। জেলেদের এধরনের অসাবধানতার কারণে এভাবে পাখি মারা পড়ার কারনে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগরের বুকে জেগে ওঠা ওই চরে শীত মৌসুম এলেই অস্থায়ী ঘর তৈরি করে একটি দুর্বৃত্ত মহল জাল পেতে মাছ ধরেন। এতে ওই জালে আঁটকে পড়ে মারা যাচ্ছে পাখিগুলো। এবছর শীত মৌসুমের শুরুতেই  চরে জেলেদের প্রচুর উপস্থিতি বেড়েছে। এসব জেলেরা চরের চারপাশে খুটাজাল পেতে মাছ শিকার করছেন।

গম্প্রতি চর বিজয় থেকে ভ্রমন কওে ফিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেলাল হোসেন নামের এক পর্যটক এ প্রতিনিধিকে জানায়,  চরে পেতে রাখা জালে দেখলাম পাখি আটকে পড়ে মরে রয়েছে। দেখেই মনে  হয়েছে ঐ জালের কারনেই পাখিগুলো মারা গেছ। অথচ মরা পাখি পঁচে চরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন গনমাধ্যমকে বলেন, বনবিভাগের একটি টিম ২/৩ দিন পর পর ওখানে পাঠানো হয়। আগামী একমাসের মধ্যেই চর বিজয়ের কিছু অংশে আমরা বনায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর থেকেই বনবিভাগের লোক ওখানে প্রতিনিয়ত থাকবে। তখন আর কেউ এসব অতিথী পাখি মারতে পারবে না বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। ইতিমধ্যেই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, যাতে ওখানের  অতিথী পাখি শিকারী জালগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয়।

আগামীনিউজ/ হাসান