পর্যটকদের উপস্থিতি পরিপূর্ন কুয়াকাটা সৈকত

রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৩:১৮ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

পটুয়াখালী: একই জায়গায় দাড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের প্রাকৃতিক-নৈসর্গিক ও মনোরম দৃশ্যের বেলাভূমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এখন দেশী-বিদেশী পর্যটকের উপস্থিতিতে একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ন। অসংখ্য পর্যটকের উপস্থিতিতে স্ব-রুপে ঘিরে কুয়াকাটার সকল হোটেল-মোটেল বুকিং থাকায় পর্যটকরা স্থানীয় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। 

আগত এসব পর্যটকরা সাগরের নোনা-জলে গা ভাসিয়ে নাচে-গানে উৎসবে-আনন্দ মেতেছে। কেউ কেউ সৈকতের তীরে বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন মনোলোভা দৃশ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবার কেউ পরিবার-পরিজনদের সাথে সেলফি তুলে ছেড়ে দিচ্ছে (সোশ্যাল মিডিয়া) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পর্যটকের এমন উপচে পড়া ভীড়ে হাসির ফোয়ারা ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

স্থানীয় অধিবাসীরা এ প্রতিনিধিকে জানায়, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ দৃস্টিনন্দন পর্যটন স্পটগুলোতে এসব আগত দর্শনার্থীদের উপিস্থিতি দেখার মতো। 

টানা ৩ দিনের ছুটিতে আগে ভাগেই সব হোটেল-মোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। বছরের বিশেষ দিনগুলোতে এধরনের পর্যটকদের আগমন ঘটে। করোনা কালীন সময়ের কিছু ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান।

পর্যটক শাহরিয়ার রাসেল এ প্রতিবেদককে বলেন, ৩ দিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। এর আগেও অনেকবার এখানে এসেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় কুয়াকাটা আসতে এখন আর তেমন বেগ পেতে হয়না। বাচ্চাদের নিয়ে এবার ট্যুরে এসেছি। তবে অভ্যন্তরীন সড়কগুলোর অবস্থা মোটেও ভালোনা। এগুলোর সংস্কার ও মেরামত হলে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে। 

আরেক পর্যটক জিন্নাত আরা ফাল্গুনী বলেন, কুয়াকাটার এষনকার পরিবেশটা অনেক সুন্দর, ভালো লাগছে। বাবা মা ছাতার নিচে বসে আছে, আমরা ছবি তুলছি, বাচ্চারা খেলা করছে। সমুদ্রে গোসল করেছি। এখানে এসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেছি, তারা আরো দুদিন থাকবেন বলে জানান।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চাইতে অনেক ভাল হওয়ায় এখন পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। হোটেল-মোটেলের সব রুম বুকিং হয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং দেওয়া রয়েছে। নতুন কাউকে রুম দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, বিজয় দিবস ও সরকারি ৩ দিনের ছুটিতে  কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছে। তবে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারছে এবং কোনো ধরনের  প্রতারনার স্বীকার না হয় সে জন্য কুয়াকাটা পৌরসভা টিম সর্বদা সজাগ রয়েছে বলে তিনি জানান।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক গনমাধ্যমকে জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হচ্ছে।

আগামীনিউজ/ হাসান