পটুয়াখালী: কলাপাড়ায় ইটালী প্রবাসী স্বামীর সাথে প্রতারনা করে কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরেুদ্ধে সিআইডিকে ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট সংগ্রহ পূর্বক অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার পৌরশহরের চিংগুড়িয়া এলাকার ইটালী প্রবাসী নাগরিক রত্তন পাহলান আদালতে নালিশী মামলা দায়েরর পর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ারের আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় কলাপাড়া শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার বাসিন্দা ও আমতলী শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৭৩-এর প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানের সাথে তার পিতা মো: আনোয়ার হোসেন খান এবং মাতা মোসা: জাহানারা খানকে আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ২০০২ সালে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বাদী রত্তন পাহলান বিদেশ গমন করেন। ২০০৯ সালে তিনি ইটালীর নাগরিকত্ব লাভ করেন। ইটালি থেকে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ২০১১ সালে ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্যে আসামী সানজিদা খানের সাথে বাদী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছু দিন দাম্পত্য ও সাংসারিক জীবন যাপনের পর আসামীর মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বাবা-মা, ভাই-বোনের যৌথ সংসার থেকে আসামীকে নিয়ে বাদী পৃথক হতে বাধ্য হন।
এরপরও স্ত্রীর প্রতি অগাধ বিশ্বোস, ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে ইটালি থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময় স্ত্রীর এনআইডি ৭৮২৬৬০৭৭০২৫৯৫ এবং শ্বশুরের এনআইডি ৭৮২৬৬০৭৭০২৫৯৬ নম্বরে আনুমানিক ০১ (এক কোটি) টাকা বাদী প্রেরণ করেন। যা আসামীরা রেমিটেন্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ব ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। চলতি বছরের ২২ অক্টোবর ২০২১ ইটালি থেকে দেশে ফেরার পর প্রবাসী স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অমনোযোগী থাকার বিষয়টি স্বামী লক্ষ্য করে।
এরপরও ৫ বছরের কন্যা শিশু মালিহার মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীর প্রতি আরও যত্নবান হতে থাকেন প্রবাসী স্বামী। কিন্তু স্ত্রী তার নামে বাদীর শহরের চিংগুড়িয়া এলাকার বাড়ীসহ সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় ১২ ডিসেম্বর বাসায় ভাঙচুর চালিয়ে তার বাবা-মার কাছে চলে যায়। আসামীদের প্রতারনা ও আত্মসাতের এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আপোষ ফয়সালার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে ইটালী প্রবাসী রত্তন পাহলান এ মামলা দায়ের করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী সানজিদা খানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় সংযোগ পাওয়া যায়নি। মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়েও কোন সাড়া মেলেনি।
আগামীনিউজ/ হাসান