নেত্রকোণাঃ জেলার বারহাট্রা উপজেলার সীমানায় ঠাকুরাকোণা ব্রীজ সংলগ্ন কদম দেউলী এলাকায় “স্বাগতম মুর্যাল” তা নিয়ে চলছে চায়ের দোকান হতে বিভিন্ন অফিসে, রাজনৈতিক মহলে বিশিষ্ট্য নাগরিক, সুশীল সমাজের মাঝে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক)এ সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে জানা গেছে। অনেকেই বলছেন বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল বা তোরণে অন্য কারোর ছবি দেয়া আইনগত ভাবে বিধি-নিষেধ রয়েছে।
এ নিয়ে নেত্রকোণার কবি নাভেদ আফ্রিদী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) এ লিখছেন-নেত্রকোণা জেলার জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বনামধন্য বারহাট্টা উপজেলার “স্বাগতম তোরণ” নির্মাণ করবার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতির সাথে বারহাট্টার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং গৌরবের প্রতিচ্ছবি বা কৃতির প্রতিকৃতি উপস্থাপনের চিন্তা না করে বঙ্গবন্ধু এবং স্বাগতম তোরণকে অর্থহীন এবং অবশ স্থাপনায় পরিণত করা হয়েছে।
আমি মনে করি, এই “স্বাগতম তোরণ” বারহাট্টা উপজেলার অস্তিত্ব প্রকাশ করছে না।
আশা করি, নির্মাণ কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে সূক্ষমতম দৃষ্টিবোধে গ্রহণ করে, জীবন্ত নির্মাণের পথ আবিষ্কার করবেন। তিনি আরও বলেন- সারাদেশে প্রায় একই অবস্থা, জেলা-উপজেলায় “স্বাগতম তোরণ” নাম করে পোস্টার প্রচারণা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারহাট্রা উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন- পরম শ্রদ্ধেয় সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঈনুল হক কাসেম ঘোড়া মার্কা নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, একজন বিদ্রোহী নেতা কি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ছবির পাশে তার ছবি সম্বলিত মুর্যাল নির্মাণ করে, আইনগতভাবে নিয়ম আছে কিনা? তা আমার বোধগম্য নয়, যদি আইনগতভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে নীতিগতভাবে আমি নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
এব্যাপারে বারহাট্রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুল হক কাসেম মুঠোফোনে জানান- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার রাজনৈতিক দর্শণ, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে এই স্বাগতম মুর্যাল/তোরণ নির্মাণ করেছি। রাজনীতির প্রতিহিংসার বশঃবত হয়ে অনেকেই মন্তব্য করছেন।
আগামীনিউজ/নাসির