গাজীপুর: জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক পাকা সড়কে ধান ও খড় শুকানোর হিড়িক পড়ে গেছে। রাস্তার অবস্থা দেখে মনে হতেই পারে সড়ক নয় যেন ধানের চাতাল। এর ফলে যে কোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
এ সব পাকা সড়কপথে অনবরত চলছে ট্রাক, মিনিবাস, মোটরসাইকেল ছাড়াও রিক্সা-ভ্যান এবং ইজিবাইক চালকরা সর্বক্ষণ দুর্ঘটনার আতংকের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। শুধু তাই নয়, কোন কোন পাকা সড়কে ধান মাড়াইয়ের কাজ পর্যন্ত করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। মোট কথা পাকা সড়কে যানবাহন চলাচলে চরম অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং দুর্ঘটনার যথেষ্ট আশংকা থাকা সত্বেও চলছে এই বেআইনী কাজ।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর মহানগরের ২৩ নং ওয়ার্ডের পোড়াবাড়ী, ভাওরাইদ, হাতিয়াব, চতর এলাকায় কয়েক কিলোমিটার সড়কে ধান ও খড় শুকাচ্ছেন আশপাশের এলাকার কৃষক কৃষাণীরা।
পাকা সড়কে ধান শুকাচ্ছেন এমন লোকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বাড়ীতে কাঁচা মাটিতে ধান-খড় শুকাতে বেশী সময় লাগে। তা ছাড়া বৃষ্টি বাদল, ঝড়ে ক্ষতিও হয়। তাই তারা অত্যন্ত নিরাপদ এবং দ্রুত শুকানোর স্বার্থেই পাকা সড়কে ধান এবং খড় শুকিয়ে থাকেন। তাছাড়া তাদের বাড়ী ও পাকা সড়কের পার্শ্ববর্তী স্থানেই।
পথচারিরা বলেন, নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে সড়ক বন্ধ করে সড়কের উপর ধান ও খড় শুকাচ্ছে স্থানীয় কৃষক-কৃষানীরা। সড়কগুলো দেখলে মনে হয় চলাচলের জন্য সড়ক নয় এ যেন ধান ও খড় শুকানো ব্যক্তিদের পৈত্রিক সম্পত্তি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, এবিষয়ে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সড়কে যেন কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন করা হবে।
এই বিষয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ (বিপিএম) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সড়কে ধান শুকানো অপরাধ, যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এটা স্বাভাবিক। এবিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলেও জানান।
আগামীনিউজ/ হাসান