বরগুনাঃ জেলার তালতলীতে সুজন (১৬) নামের এক কিশোরকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘জাগো নারী’র তালতলী কার্যালয়ে ওই কিশোর অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ কিশোরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে এবং তার বাবাকে থানায় নিয়ে আসে।
সুজন তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে কবিরাজপাড়া এলাকার মো. সোহরাব মুন্সীর ছেলে।
সুজনের সহপাঠীরা বলে, জাগো নারী কিশোর-কিশোরী দলের সদস্য সুজন। সে এ বছর এসএসসি পাস করেছে। সামনে কলেজে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। অথচ এই মুহূর্তে তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চান তার বাবা।
জাগো নারী তালতলী উপজেলা শাখার সমন্বয়কারী রাবেয়া মুন্নি বলেন, সে একজন ছাত্র। এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু তার বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চান। সে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার বাবা তাকে ও তার মাকে নির্যাতন করেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তালতলী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই কিশোরের বাবাকে থানায় ডেকে বুঝিয়ে বললে তিনি ছেলেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই কিশোর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বাবা বিয়ের জন্য চাপ দেবেন না ও তার মাকে আর নির্যাতন করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। পরে স্থানীয় ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের কাছে ওই কিশোরকে জিম্মা দেওয়া হয়েছে।
আগামীনিউজ/বুরহান