ঠাকুরগাঁও: তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে সহিসংতার ঘটনায় গুলিতে ৩ জন নিহত ও ৫ জন আহতের ঘটনায় ১ হাজার ৪৬৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হতাহতের ঘটনা মামলার বাদী হয়েছেন থানা পুলিশ। অন্য দুটি মামলাট বাদী হয়েছেন দুই ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার। মারপিট, ভাংচুড় ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের দায়ের করা দুটি মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
হতাহতের ঘটনার মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। ৩ মামলায় এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামীদের বাড়ি উপজেলার ঘিডোব, হাবিবপুর, শিবপুর, কালিয়াগঞ্জ, রাধিকাপুর, ইন্দ্রোইল ও জগন্নাথপুর গ্রামে।
পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শেষে রাতে ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন ম্যাজিষ্ট্রেট সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিজিবি গুলি ছুড়ে। এতে ৩ জন নিহত ও ৫ আহত হয়। ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশের এস আই আব্দুল হামিদ মন্ডল বাদি হয়ে পরদিন ঐ এলাকার অজ্ঞাত নামা ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এদিকে বৈরচুনা ইউনিয়নের ইন্দ্রোইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল নিয়ে রাতে এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের কেন্দ্রে আটক করে রাখার পাশাপাশি মারপিট করে।
এ ঘটনায় ঐ ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলার ভাকুড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান বাদী হয়ে ৬১০ জনের বিরুদ্ধে ০১ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাতনামা।
অপরদিকে ভোমরাদহ ইউনিয়নের রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বিকালে জোর করে ভোট দিতে না দেওয়ায় কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই মহিদুলকে মারপিট করে এক প্রার্থীর লোকজন। এতে ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক আকিমউদ্দীন বাদী হয়ে ০৪ ডিসেম্বর ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলা অজ্ঞাত নামা আসামী ১৫০ জন।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান আরও জানান, ঐ তিন মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। হতাহতের ঘটনায় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারাও তদন্ত করছেন।
আগামীনিউজ/ হাসান