কক্সবাজারঃ কক্সবাজারে বিমান ও গরুর সংঘর্ষের পর এখনও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। স্থানীয়রা চলাচলে এখনও ব্যবহার করছে রানওয়ে। গরু ছাগল রয়েছে বন্দরের সীমানা প্রাচীরের ভেতর।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে, যদিও বিমান-গরুর সংঘর্ষে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার দাবি করে আসছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের নিরাপত্তা ও কড়াকড়ি দেখলে অবাক হবেন যে কেউ। কিন্তু যে রানওয়ের নিরাপত্তায় এতো সতর্কতা, সেই রানওয়ের উপর চলাচল করে মানুষ।
বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বলেন, স্থানীয়দের জন্য বিমানের রানওয়ে হচ্ছে হাঁটাচলার ফুটপাথ। তাছাড়া হাটবাজারে যাওয়ার একমাত্র পথ তো বটেই। বন্দরের চারপাশের সীমানা প্রাচীরের সমিতি পাড়া, নুনিয়ারছডা অংশের চারশ' ফুট খোলা। কাঁটাতারের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে মানুষের পাশাপাশি ঢুকে যায় গরু-ছাগল ও কুকুর।
বিমানের যাত্রীরা বলেন, রানওয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বন্দর সম্প্রসারণ কাজ করার যৌক্তিক কোন কারণ নেই।
এদিকে বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নাইমুল হক স্বীকার করলেন, সীমানা না থাকায় নিরাপত্তা দেয়া কঠিন হচ্ছে।
আর বন্দর ম্যানেজার গোলাম মুর্তজা বলেন, সীমানাপ্রাচীর শক্তপোক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার আগে রানওয়ের আশেপাশে চরা দুটি গরুর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশের একটি বিমানের ডানায় ধাক্কা লাগে। এতে গরু দুটি ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও বেঁচে যান বিমানের ৯৪ আরোহী।
এ ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে চার আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/এসআই