কুমিল্লাঃ কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাব্বির হোসেন ও মো. সাজন সোমবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। পুলিশি পাহারায় মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হলেও তাদের জানাজা নামাজে কেউ আসেননি। তাই জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহতদের নিজ এলাকায় লাশ নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে- এই আশঙ্কায় সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু মাগরিব নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও নামাজে জানাজা পড়াতে কোনো মাওলানা ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। এ সময় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়। কবরস্থান এলাকায় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে দুপুর থেকে এলাকার লোকজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই জনের লাশ এলাকায় দাফন না করতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন।
কোতয়ালী মডেল থানাধীন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, এলাকাবাসী নিহতদের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে- এই আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করতে হয়েছে।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহার থাকা ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজন (৩২) নিহত হয়। এর মধ্যে সাব্বির নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে এবং সাজন নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে।
নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহত ওই কাউন্সিলরের ভাই বাদী হয়ে মামলায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগামীনিউজ/বুরহান