ফরিদপুরঃ জেলার বোয়ালমারীতে পৌনে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা মহানগর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ২১ গত ২২ নভেম্বর অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই নির্দেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, উপজেলার কান্দাকুল গ্রামের মহিউদ্দিন মৃধার ছেলে কামরুজ্জামান মৃধা প্রতারণার উদ্দেশ্যে মধুমতি অটো ব্রিক্স নামক ভুয়া প্রজেক্টের শতকরা ৫০ ভাগ শেয়ার মো. তাজমির মোল্যাকে দেয়ার কথা বলে তিন কোটি চুয়াত্তর লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাজমির মোল্যা একই উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় তাজমির মোল্যা বাদি হয়ে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর কামরুজ্জামান মৃধার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন। মামলার পরদিন কামরুজ্জামান মৃধা ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকার আদাবর থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেন। কামরুজ্জামান ওই মামলায় উল্লেখ করেন মো. তাজমির মোল্যা তার (কামরুজ্জামান) ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন এবং সেই সুবাদে তাজমির মোল্যা কিছু চেকের মাধ্যমে দুই কোটি সত্তর লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে মো. তামজিদ মোল্যা বলেন, আমি গ্রিন বাংলা ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর (প্রোগ্রাম) হিসেবে কর্মরত ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, কামরুজ্জামান মৃধা যে চেক নম্বর দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন, ওই চেক নম্বর দিয়েই ২০১৮ সালে ব্যবসায়িক প্রতারণা করার কারণে এক্সেল টেলিকম লি. বিজ্ঞ আদালতে কামরুজ্জামান মৃধার বিরুদ্ধে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২৭৭৪/১৮। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করায় গত ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আদাবর থানা পুলিশ কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে এবং তিন দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান।
আগামীনিউজ/এসআই