ঠাকুরগাঁও: জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে প্রথমবারের মতো কৃষক অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ধান কেনায় সময় সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি বন্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ জন্য উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চাষিদের কৃষক অ্যাপে নিবন্ধন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, প্রচারপত্র ও মাইকিং করে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ।
উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বালিয়াডাঙ্গী থেকে ১ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন আমন ধান ২৭ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে। এই কাজে অনিয়ম বন্ধে অ্যাপ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী কৃষকদের কৃষি কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। কৃষি অফিস থেকে এগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর সরকারি গুদামে ধান বিক্রির আবেদন করতে হবে। এই কাজে উদ্বুদ্ধ ও নিবন্ধনে সহযোগিতা করছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গত ৫ নভেম্বর থেকে কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে নিবন্ধনের সময়সীমা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত থাকলেও পরবর্তীতে বাড়িয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। উপজেলার ৮ ইউনিয়নে আমন ধান চাষি ৩৭ হাজার কৃষক রয়েছে। গত রবিবার পর্যন্ত ১৬ দিনে ৩৭ হাজার কৃষকের বিপরীতে ৪ হাজার ৫৪৪ জন কৃষক নিবন্ধনের আওতায় এসেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, কৃষিতে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। কৃষিপণ্য বিক্রিতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবেন। আমন ধান অ্যাপের মাধ্যমে ক্রয় শুরু হলে সরকারের ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সফল হবে।
আগামীনিউজ/ হাসান