নোয়াখালী: জেলার বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে গণধর্ষণ ঘটনার মুল হোতা কামাল হোসেন ওরফে কামাইল্লা চোরাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
এর আগে গত রোববার রাতে বেগমগঞ্জ থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভুক্তভোগী পরবিার। পরে পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গ্রেফতার কামাল হোসেন ওরফে কামাইল্লা চোরা উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের মহাজন বাড়ির মৃত জালাল আহমদের ছেলে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ধর্ষক কামালকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ধর্ষককে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে গ্রেফতার হয়। তাকে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লা আল মামুন একই গ্রামের কামাল, নাছের,হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭) তাকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি সে তার খালাকে জানালে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষেপে যায়। এরপর গত ২৬ আগস্ট সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লা আল মামুন (২৮) নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার গ্রামের একটি বাড়িতে আটক করে রাখে। এরপর অপহরণকারী আবদুল্লা আল মামুন ও কামাল ওই স্কুল ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে সোনাইমুড়ী ও টাঙ্গাইলের শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। কামাল, নাছের ও ফরহাদ পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করায় বলে এজাহারে ভুক্তভোগী নারি উল্লেখ করেন। সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওষুধ খাইয়ে একটু সুস্থ করে আবারও ধর্ষণ করত। গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে তার বাড়ি চলে আসে এবং একটু সুস্থ হয়ে রোববার বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এছাড়া ধর্ষণের ছবি, ভিডিও ধারণ এবং মামলা করলে ভিডিও ভাইরাল করাসহ তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ধর্ষকরা।
আগামীনিউজ/ হাসান