পিরোজপুর: ডিজিটাল সেন্টারএর ১১তম বষপূর্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে মঠবাড়িয়া পৌর ডিজিটাল সেন্টার কর্তৃক উদ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবা গৃহিতা ও জনসাধারন কে নিয়ে কেক কাটার অনুষ্ঠান (১৫ নভেম্বর) সোমবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় মঠবাড়িয়া পৌরডিজিটাল সেন্টার কক্ষে আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সুদুর প্রসারী এই প্রকল্পগ্রহনেরফলে দেশের সাধারন নাগরিক এখন সহজে ও কম খরচে, ঝামেলাহীন ভাবে সরকারী বেসরকারী সেবাপাচ্ছেন। ডিজিটাল সেন্টার কল্যানে সারা দেশের ৪৫১৬ টিগ্রামেগড়ে ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন তথ্য ও সেবা গ্রহন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত ।
উদযাপন অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র (মঞ্জুর রহমান শিকদার ) মঠবাড়িয়া পৌরসভার সচিব, মোঃ হারুন অর রশিদ ও পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ সহ প্রশাসন, উদ্যোক্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবাগ্রহীতাগণ।
মঠবাড়িয়া পৌরডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা এ টু আইএর উদ্যোক্তা জনাব নাঈম মাহমুদ শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যাবস্থাপক মোঃ ইমরান হোসেন, কাস্টমার রিলেশন অফিসার জনাবা সাবিনা ইয়াসমিন।
এ সময় বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের বর্ণনাদিয়া বলেন, এ দেশ শতভাগ ডিজিটাল করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজকরে যেতে হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঢ় নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধমে ২০৪১ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ, যা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মলালিত স্বপ্ন।ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ স্বপ্ননয়, এক বাস্তবতা।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তৃণমূলে জনগণ আজ সরাসরি উপকার পাচ্ছেন। ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন জাতির পিতারসুযোগ্য কন্যাপ্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার এক দুরদর্শী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও তিনি জানান।
উল্যেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেন্টার গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারে ২৭০টির বেশি সেবা দেওয়াহয়। এরমধ্যে উল্যেখযোগ্য হলো- জমিরপর্চা, নামজারি, ই-নামজারি, পাসপোর্ট আবেদন ও ফিজমাদান, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, হাজ্ব রেজিস্ট্রেশন, সরকারি সেবার ফরম, স্ট্যাম্পবিক্রয়, জীবনবীমা, বিদেশে চাকরির আবেদন সহ অন্যান্য সেবা।
এছাড়াও মঠবাড়িয়া পৌরডিজিটাল সেন্টার থেকে আধুনিক সকল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফ্রীতে ব্যাংক একাউন্ট খোলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং সেবার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এছাড়াও রেমিট্যান্সপ্রদান, সরকারি বেসরকারি সকল ধরনের ভাতা, উপবৃত্তি প্রদান করা হয় এবং সকল ধরণের উটিলিটি বিল গ্রহণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে মঠবাড়িয়া পৌরডিজিটাল সেন্টারএর উদ্যোক্তা জনাব নাঈম মাহমুদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে নতুন নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে বক্তব্য রেখে বলেন শিগ্রই মঠবাড়িয়া বাসীর জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে মঠবাড়িয়া আইটি ইনস্টিটিউট চালু হতেযাচ্ছে এবং মঠবাড়িয়া অনলাইন শপ এর কার্যমান চলমান রয়েছে।
আগামীনিউজ/ হাসান