অনুমতি ছাড়াই নদী থেকে বালু উত্তোলন

আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি নভেম্বর ১০, ২০২১, ০৭:০১ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

ঠাকুরগাঁও: জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তীরনই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলায় প্রতি বছরই ভাঙনের মুখে পড়ছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট।

উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের কুশলডাঙ্গী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তীরনই নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম। স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনে অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হচ্ছে না।

সর্বশেষ ১ নভেম্বর উপজেলার কুশলডাঙ্গী গ্রামের আব্দুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য অভিযোগ করেছেন। তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

আব্দুর রহমানের অভিযোগ, ‘বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেবে এমন দপ্তরগুলোতে পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছে সিরাজুল ইসলাম। এর ফলে আমরা লিখিতভাবে জানালেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে সরাসরি বাধা দিতেও ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা।’

গত মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে কুশলডাঙ্গী গ্রামের উত্তর পাশে তীরনই নদীতে ৫০০ টাকা হারে পারিশ্রমিক দিয়ে তিনজন শ্রমিক অজয়, ছত্রিশ ও রবিনকে দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তুলছেন সিরাজুল ইসলাম। শ্রমিক ছত্রিশ জানান, রোববার ভোরে থেকে দুপুর পর্যন্ত বালু তুলেছেন। সাংবাদিকদের দেখে চলে যান তাঁরা।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে তুলতেছি। কোথাও কোনো অনুমতি নেইনি। এখানে বালু মহাল না থাকায় বালু উত্তোলনের অনুমোদনের সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়েছে শুনে মেশিন ও পাইপ সরিয়ে নিয়েছি।’

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘বালু উত্তোলনের অভিযোগ ৫০টা আছে আমার কাছে, কে কোথায় তুলতেছেন। কীভাবে, কী করব।’

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান বলেন, ‘বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের কিছু করার নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি ভ্রাম্যমাণ অভিযান দেন, মেশিন জব্দ করেন। তাহলে বন্ধ করা সম্ভব।

আগামীনিউজ/ হাসান