ঠাকুরগাঁও: শহরের রোড বাজারের পাশে খালপারা এলাকায় এক তরুণীর (২০) বিরুদ্ধে সমাজে খারাপ অপবাদে শারিরিক নির্যাতনের পরে চুলকেটে দিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যায় খালপারা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক হন অভিযুক্ত আলম (৫২)।
বর্বরতার ঘটনা তুলে ধরে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী বলেন, গত শনিবার রাতে আলমসহ আরও ০৭ জন নারী পুরুষ মিলে আমাকে তাদের বাসায় ডেকে নেয়। এর পরে আমাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মাথার সব চুল কেটে দেয় অভিযুক্তরা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কান্না করে বার বার ছেড়ে দেবার আকুতি জানালেও কেউ কথা শুনে নাই।’
ওই তরুণীর মা বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মা মেয়ে শহরের বিভিন্ন বাসায় ঝি এর কাজ করে কোনরকম দিনযাপন করছি। সময় অসমেয় স্থানীয় বখাটেরা বিভিন্ন অপবাদ দেয় আমাদেরকে। আমার মেয়ের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে আমি সেটার সঠিক বিচার চাই।’
তরুণী এই বর্বরতার বিচার চেয়ে বলেন, ‘আমি কোনো দোষ করিনি। আমাকে অযথা ধরে নিয়ে গিয়ে এভাবে মারধোর করলো। আমার কাপড় ছিঁড়ে চুল কেটে দিলো। আমি এর বিচার চাই।’
বিষয়টিতে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। সেই এলাকার বাসিন্দা সালাম জানান, মেয়েটির বাবা নেই। মা মেয়ে কাজ করে খায়। এভাবে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পরেই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনাস্থলে একজনকে পাওয়া গেলেও বাকিরা পালিয়ে গেছে। এই বিষয়ে মেয়ের মা বাদি হয়ে থানায় এটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
আগামীনিউজ/ হাসান