ইকবাল পাগল নন, ভবঘুরেও নয়: সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা নভেম্বর ২, ২০২১, ০৮:৪৩ এএম
ছবিঃ সংগৃহীত

কুমিল্লাঃ নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন পাগল নন, সে ভবঘুরেও নয়। তিনি স্বাভাবিক। বিষয়টি সোমবার (০১ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছেন সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।

সিসি ক্যামেরায় ইকবালের পরিচয় শনাক্ত হওয়া পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সে পাগল। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়।

পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, ইকবালসহ অন্য আসামিদের দ্বিতীয় দফায়  রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ইকবালকে পাগল বলা হচ্ছে, তবে সে পাগল নয়, স্বাভাবিক।

২৯ অক্টোবর কোরআন অবমাননার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল, নগরী দারোগাবাড়ি মাজারের দুই খাদেম ফয়সাল, হুমায়ুন এবং জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানানো ইকরামের ২য় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড চলছে। ২৫ অক্টোবর এই মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সেদিন মধ্যরাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে দারোগাবাড়ি মাজার এলাকা থেকে মূর্তির গদাটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে পূজাকাণ্ডে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে নতুন মামলা হয়েছে। যেখানে একটি নিউজ পোর্টাল পরিচালনাকারী সাজ্জাদ হোসেন শিমুল ও তার ভাই ফয়সাল মবিন পলাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নতুন করে এ মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক আতিকুর রহমান। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার দিন নানুয়া দীঘির পাড়ের ঘটনাস্থলে এসে ‘কুমিল্লা টাইমস’ নামের একটি নিউজ পোর্টালে লাইভ প্রচার করে সহিংসতা উস্কে দেয়। এতে ওই নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন শিমুল ও নির্বাহী সম্পাদক ফয়সাল মবিন পলাশের বিরুদ্ধে সোমবার কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। 

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির পাড়ে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও পরবর্তীতে মন্দির ভাংচুরসহ বিভিন্ন ঘটনায় জেলায় সোমবার পর্যন্ত মোট ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৮টি, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২টি এবং দাউদকান্দি মডেল থানায় ১টি ও দেবীদ্বারে একটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনার মূল হোতা ইকবাল হোসেনসহ চার আসামি গত ২৯ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। 

আগামীনিউজ/বুরহান