বেতাগীতে ইলিশের আকাল, চড়া দাম

বেতাগী প্রতিনিধি অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০১:৪৮ পিএম
বেতাগী পৌর শহরের ইলিশের দাম শুনে ক্রেতার মাথায় হাত। ছবি : আগামী নিউজ

বরগুনাঃ দেশের উপকূলীয় জনপদ জেলার বেতাগীতে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তা এতোটাই বেশি যে সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। বিক্রেতাদের দাবি বাজারে চাহিদার তুলনায় ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার একাধিক বাজার, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালে ধরা পড়ছে কিছু কিছু জাটকা ও মা ইলিশ। নদীতে সামান্য ইলিশ ধরা পড়লেও অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম দেখা যাচ্ছে। নদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে। এ কারণে বাজারগুলোতে ইলিশের দাম বেশ চড়া। ফলে চলতি বছর হতাশার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের। চড়া দামের কারণে ইলিশ এখন স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। 

বর্তমানে এখানকার  পৌর শহরের বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা দরে। এবারের ইলিশের মৌসুমে যা এই বাজারে সর্বোচ্চ বলে ক্রেতাদের দাবি। গত বছর এ সময় যে ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল। এবার এসব ইলিশের দাম প্রায় দিগুণ। কারণ মাছের চাহিদা অনুপাতে আমদানি কম।

বেতাগী শহরের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, 'ইলিশের এতো দাম দেখে আমি হতাশ ও হতবাক। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ কিনতে বাজারে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু, সাধারণ ক্রেতারা ইলিশের দাম দেখে খালি হাতে চলে যাচ্ছেন। 

ইলিশের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে ইলিশ কম আসছে। কিন্তু, ইলিশের চাহিদা রয়েছে কয়েকগুণ। ইলিশ কম থাকায় ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। এই এলাকায়  ইলিশের পরিমাণ এবার কমেছে। 

বেতাগী উপজেলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রব  বলেন, ‘সরকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে গেলেও আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছে না। তাই, বাজারেও এখন ইলিশের দাম বেশি।’ 

বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন বলেন, ইলিশের প্রধান  প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বিষখালী নদীতে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে না। নদীতে জাল ফেলে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ জেলেরা।

আগামীনিউজ/নাসির