পদ্মায় তীব্র স্রোত এবং রো রো ফেরির জন্য পর্যাপ্ত ঘাট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাওয়া-বাংলাবাজার রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় এ রুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশজুড়ে কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। দৌলতদিয়া থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ের ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কেও প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য এই আঞ্চলিক মহাসড়কে গাড়িগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী স্নেহা বলেন, ‘সকাল সকাল যাত্রা করেও এমন যানজটে পড়তে হবে আশা করি নাই। অনেক সময় এই যানজটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
জয়শ্রী রায় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে খুব ভোরে রওনা দিয়েছি। ভেবেছিলাম ঢাকায় আজকের কাজ সেরে আজই ফিরে আসব। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
পণ্যবাহী ট্রাক চালক মুরাদ বলেন, ‘অনেক সময় ধরে যানজটে আটকে আছি। কখন যে ফেরিতে উঠতে পারবো তা জানি না। আর আমাদের ভোগান্তির তো কোন শেষ নেই। এই যানজটে আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’
কাভার্ডভ্যান চালক নাজমুল বলেন, ‘আমরা কখন আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারব জানি না। আর এভাবে এইখানে আটকে থাকা আমাদের ক্লান্তি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, এই নৌরুটে বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
আগামীনিউজ/নাসির