ঢাকাঃ পদ্মার পানি কমে যাওয়ার ফলে তীব্র স্রোত এবং রো রো ফেরি না থাকার জন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছিল যানজটের। মাওয়া-বাংলাবাজার নৌপথের এই চলাচল বন্ধ হওয়ায় এই নৌপথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (২৭অক্টোবর) মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নং ফেরি ঘাটে শাহ আমানত নামের একটি রো রো ফেরি উল্টে যাওয়ায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫ নং ঘাটটি একেবারেই অকেজো হয়ে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে দৌলতদিয়া প্রান্তেও।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৪কিলোমিটার অংশজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এছাড়াও প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশজুড়ে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি। দৌলতদিয়া থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড় ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশজুড়েও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। মূলত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য এই আঞ্চলিক মহাসড়কে গাড়িগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মায়া বলেন, এই যানজট খুবই অসহ্যের। কবে যে এই জট থেকে মুক্তি পাবে এই অঞ্চলের মানুষ!
সাতক্ষীরা থেকে আগত সোয়াইব মোল্লা বলেন, বিকালে সাতক্ষীরা থেকে রওনা দিয়ে ভেবেছিলাম ঘাট খালি পাবো।কিন্তু তাও দেখছি যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
কাভার্ডভ্যান চালক সমির বলেন, কখন বা কবে যে ফেরিতে উঠতে পারবো জানা নাই। আর এইভাবে দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকা আমাদের আর্থিক ক্ষতিরও কারণ।
ট্রাকচালক আক্তার বলেন, আমরা কখন আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবো জানি না। আর এভাবে এইখানে আটকে থাকা আমাদের জন্যও খুব কষ্টের হয়ে পড়ছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, এই নৌরুটে বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া আপনারা তো জানেনই একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
আগামীনিউজ/নাসির