চুয়াডাঙ্গাঃ চুয়াডাঙ্গায় মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষের জেরে বিয়ে বিচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মাথায় আবারও লুকিয়ে বিয়ে করেছেন ওই দম্পতি।
ছেলের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনারদাড়ি গ্রামে গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে লুকিয়ে বিয়ে করেন তারা। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন ওই দম্পতি। আগামী নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর সবুজ আলী।
তিনি বলেন, রোববার বিয়েবাড়িতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বর ও কনেপক্ষ। একপর্যায়ে বর পক্ষের তিনজনকে মারধর করা হয়। পরে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। রাতে কনে সুমি আক্তার সুমি আমাকে ফোন দেয়। একপর্যায়ে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি। সোমবার সকালে সুমি ঝিনাইদহ চলে এলে রাতে আমরা বিয়ে করি।
তিনি আরও বলেন, আসলে দুই বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। তারপর থেকে সুমির সঙ্গে আমার সম্পর্কটা আরও গভীর হয়। উভয় পরিবারের ভুল বোঝাবুঝির কারণে তো আমরা পৃথক হতে পারি না। সুমি আমার সঙ্গে অনেক ভালো আছে।
বিয়েবিচ্ছেদের কারণ জানতে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কনের বাবা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসলে বিয়ের দিন বরপক্ষ খুব খারাপ আচরণ করে আমাদের সঙ্গে। বিয়েতে দেওয়া গায়ে হলুদের উপহার তারা ফেরত নিয়ে আসে। এ ছাড়া খাবার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বরপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে তাদের গণ্ডগোল হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর রাতেই উভয় পক্ষ বসে কোনো সমাধান না হওয়ায় বিয়েবিচ্ছেদ হয়। পরে আমার মেয়ে আবারও সবুজের কাছে চলে যায়।
এ বিষয়ে বর সবুজ আলীর ছোট মামা ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গায়ে হলুদের উপহার ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মূলত বাগবিতণ্ডা হয় কনে পক্ষের সঙ্গে। পরে তারা আমাদের মারধর করে। ঘটনার রাতেই বিয়েবিচ্ছেদ হয়।
তিনি আরও জানান, সবুজ বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর পাঁচ বছর আগে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদি আরবে যায় সবুজ। সেখানে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় তার।
আগামীনিউজ/শরিফ