মাংস বেশি খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সেই নববধূকে তালাক

নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০২:১০ পিএম

চুয়াডাঙ্গাঃ জেলার সদর উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সেই নববধূকে তালাক দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৪ অক্টোবর) বিয়ের রাতেই দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।

জানা যায়, ২০১৯ সালে দশমী পাড়ার রহিম আলীর সৌদিপ্রবাসী ছেলে সবুজ আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

সম্প্রতি সবুজ দেশে ফিরলে রোববার (২৪ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের দিন দুপুরে বরপক্ষের লোকজন বারবার মাংস চাওয়ায় বিরক্ত হন মেয়েপক্ষ। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।

এতে বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠান কনেপক্ষের লোকজন। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলীর ছেলে শাহা জামাল (২৮), ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)। শাহা জামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

কনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাত না খেয়ে দফায় দফায় শুধু মাংস চাচ্ছিলেন বরপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারি বেধে যায়। পরে রাতেই দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।’

কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান বলেন, বিয়েবাড়িতে বারবার মাংস চাওয়ায় কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়েছেন। ওইদিন রাতেই দুপক্ষের উপস্থিতিতে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে। 

আগামীনিউজ/বুরহান