ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ১৩ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রী। বর্তমানে ওই কিশোরী দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় ডলু মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল বাঞ্ছারামপুর থানায় ওই মাদরাসার ছাত্রীর বাবা জয়নাল মিয়া বাদি হয়ে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার বাদি ও মামলার বিবরণ সুত্রে জানা যায়, ধর্ষণ মামলার আসামী ডলু মিয়ার তিন ছেলে ও স্ত্রী আছে। পরিবার থাকার পরও ডলু মিয়া তার মেয়েকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো। তার মেয়ে নাবালিকা বলে ডলু মিয়ার কু-প্রস্তাবে রাজি হয়নি। গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার মা'কে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য তার মেয়েকে ফরদাবাদ গ্রামের রবির বাজারে পাঠান। ওই সময় তার মেয়ে রবির বাজারের ডলু মিয়ার রিকসার গ্যারেজের কাছাকাছি যাওয়ার পর ডলু মিয়া তার মেয়েকে জোরপূর্বক ভাবে মুখে গাঁমছা পেছিয়ে গ্যারেজের ভেতরে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার মেয়ের অনিচ্ছায় জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করেন৷ ধর্ষণের ব্যাপারটি কাউকে না বলার জন্য ডলু তার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
গত ১৫ দিন আগে পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারনে মেয়ে পেটের ব্যাথায় কান্না-কাটি শুরু করেন। পরে তার মেয়েকে স্থানীয় রুপসদী মাহাবুবুর রহমান হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক দেখাতে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের তার মেয়ের আল্ট্রা-সনোগ্রাফি রিপোর্টে ৫ সপ্তাহ ৪দিন অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। তখন তার মেয়ের কাছে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে চাইলে ডলু মিয়া তার মেয়েকে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করার কথা শুনেন।
এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। মেয়েটি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটিকে জেলা সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আগামীনিউজ/শরিফ