মহিপুরে হাইব্রিড নেতার দাপটে বিব্রত আ.লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি অক্টোবর ১১, ২০২১, ০৯:৩১ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

পটুয়াখালী: মহিপুরে হাইব্রিড নেতার দৌরাত্মে ও দাপটে বিব্রত-বঞ্চিত আওয়ামীলীগ ত্যাগী ও তৃনমূল নেতা-কর্মীরা। হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতা মো: মঞ্জু মুসুল্লী আওয়ামীলীগ মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের মৃত আফতার উদ্দীন মুসুল্লীর ছেলে।

পরিবারের ১১ ভাইয়ের ৮ জন সবাই  বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়। পরিবারের দুই ভাই বাংলাদেশ পুলিশের চাকরিরত ছিল, এক ভাই রিটায়ার্ড হয়ে পরিবারসহ ঢাকায় থাকেন। তার ভাই আনোয়ার মুছুল্লি মহিপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, ছোট ভাই মাহাবুব মুসল্লী মহিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য, তার ভাইয়ের ছেলেরা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠ রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরে দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে ফিরেই ভোল পাল্টে পরিবারের মধ্যে একাই বনে যান আওয়ামীলীগ ছিছকে নেতা। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে নেতাদের তেলবাজি করে হাতিয়ে নেন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি। তিনি ছাড়া পরিবারের অন্য ৮ ভাই এখনো বিএনপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন। মঞ্জু মুসুল্লী দলের প্রভাব খাটিয়ে মহিপুরে সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে ২ টি দোকান ঘর নির্মান করেন। তার এসব কর্মকান্ডে বিব্রত স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা।

মহিপুর ইউনিয়ানের আওয়ামী সভাপতি আ: মালেক আকন বলেন, মঞ্জু মুসুল্লীর বিব্রতকর আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সহ-সভাপতি আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন, মঞ্জু মুসুল্লী একজন হাইব্রিড আওয়ামীলীগ। 

সংগঠনের একাধিক নেতারা জানান, এ হাইব্রিড মঞ্জু মুছুল্লি দলের ভিতরে প্রবেশ করে শুরু থেকেই বিব্রতকর আচরন করে আসছেন। দলের সিনিয়র নেতাদের উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে কেককাটা অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের পিছনে ফেলে নিজেই  শুরু করেন কেককাটা।

মহিপুর ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি জানান, সিনিয়র নেতাদের সাথে বিব্রতকর আচরনের বিষয় জনতে চাইলে উল্টো তাকে হুমকি দেয়।

আগামীনিউজ/ হাসান