টাকা নিয়ে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ সভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি অক্টোবর ১০, ২০২১, ০১:৩০ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার সদর উপজেলার টাকা নিয়ে রাধিকা-শিবপুর অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গত রোববার (১০ অক্টোবর) টাকার বিনিময়ে শ্রমিক চালক ইউনিয়ন কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় দুইজন শ্রমিক নেতাকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে।

রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে  রাধিকা-শিবপুর অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি মো. ইদ্রিস মিয়া সাংবাদিকদের জানান।

ইদ্রিস মিয়া জানান, আজকে সকালে সুলতানপুর, মাছিহাতা ও রামরাইল ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি চালক শ্রমিকদের নিয়ে শিলাউর গ্রামে রাধিকা-শিবপুর অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সময় প্রতিবাদকারীরা জানান, রাধিকা-শিবপুর অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের কোন শ্রমিকই জহির খান ও মুমিন মোল্লা কাউকে চাইনা। তারা অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক চালকদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা তুলে। অসহায় ও হতদরিদ্র শ্রমিক চালকরা তাদের কাছে জিম্মি। এই কমিটি পকেট কমিটি, যা টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে। যতদিন এই কমিটি থাকবে ততদিন শ্রমিক চালকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

জেলা অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল ভূইয়া বলেন, রাধিকা-শিবপুর ট্যাম্পু ও অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটি টাকা নিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শ্রমিক চালকদের এই আন্দোলন। এ নিয়ে রাধিকা-শিবপুর রোডের কমিটির সভাপতি ইদ্রিস মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জহির খানের মধ্যে দ্বন্দ্ব। ইদ্রিস মিয়াকে তার ছোটভাই সাদেক ভূইয়া সমর্থন করায় জহির খান ও মুমিন মোল্লার সমর্থকরা সাদেককে মারধর করেন। আজকে শিলাউরের প্রতিবাদ সভায় কমিটি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, জেলা কমিটির দক্ষিন শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুমতিতে গত সাত মাস আগে রাধিকা-শিবপুর অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই সময় এই কমিটি নিয়ে সবার মাঝে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে ইদ্রিস মিয়া প্রতিবাদ করায় উক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহির খান ও সিনিয়র সহসভাপতি মুমিন মোল্লার ইদ্রিস মিয়ার সমর্থক রাধিকা গ্রামের রহিজ মিয়ার ছেলে সাদেক ভূইয়া (৩৫) ও বিরামপুর গ্রামের ফজলে হকের ছেলে লিটন মিয়াকে (৩৫) মারধর করেন। তারা দুইজনই রাধিকা-শিবপুর রোড অটো-ট্যাম্পু ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটিতে ছিলেন৷

আগামী নিউজ/ হাসান