ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর দাবি রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৭, ২০২১, ০৬:২৯ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর কাছে দাবি জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সৈয়দপুর-কক্সবাজার রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অংশ নেন তিনি।

শাম্মী আক্তার বলেন, ‘আগে ঢাকায় এসে তারপর কক্সবাজারের ফ্লাইটে উঠতে হতো। এখন সৈয়দপুর থেকেই বিমানে কক্সবাজার যাওয়া যাবে। আমার নানির বাড়ি ঈশ্বরদীতে, কিন্তু সেখানকার বিমানবন্দরটি বন্ধ। জানি না কেন বন্ধ। আমার একটা দাবি ভাইয়ার (বিমান প্রতিমন্ত্রী) কাছে, তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেন বিমানবন্দরটি আবারও চালুর প্রস্তাব তোলা হয়। তাহলে ঈশ্বরদীর যাত্রীদের উপকার হতো।’

বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১২টায় কক্সবাজার রুটে ছেড়ে যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৯২।

জানা গেছে, প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বিমান। আর প্রতি শনিবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে সৈয়দপুরের পথে রওনা দেবে একটি ফ্লাইট। 

বিমান বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য রংপুর শহরের পর্যটন মোটেল ও দিনাজপুর জেলার পুরনো বিমান অফিস, প্রেসক্লাব, কালিতলা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পর্যন্ত বিনামূল্যে এসি কোচ সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের আরও ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসানসহ অনেকে।

২০১৪ সালের সর্বশেষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি নেমেছিল ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে। এরপর আর কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইট সেখানে অবতরণ করেনি। বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স, পাবনা জেলা প্রশাসক ও ঈশ্বরদীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরেও ৭ বছরে চালু হয়নি বিমানবন্দরটি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নথি থেকে জানা গেছে, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর ১৯৪০-১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্থাপিত হয়। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২০তম বোমারু বাহিনী এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছিল।

স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরপর বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দরটি। তবে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু ৬ মাস ১১ দিন চালু থাকার পর ২০১৪ সালের ২৯ মে আবার বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরটি।

আগামীনিউজ/শরিফ