আমি দেলোয়ার বাদাম বিক্রেতা হতে পারি আমার সন্তানরা হবেনা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি অক্টোবর ৭, ২০২১, ১১:৩০ এএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

লক্ষ্মীপুর: জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বাদাম বিক্রি করেন মো: দেলোয়ার হোসেন (৩৮) তার বাড়ি সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের পূর্ব মান্দারী গ্রামে। সেই ভোর হলে ঘুম থেকে উঠে চলে যান রায়পুর উপজেলায়।  

বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগম ঘটে এমন স্থানে প্রতিদিন বাদাম বিক্রি করেন। আমাদের এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে দেলোয়ার বলেন, গত ২০ বছর ধরে বাদাম বিক্রি করে আসছি। প্রতিদিন প্রায় ১২০০-১৫০০ টাকা আয় হয়। এর মধ্যে আমার লাভ হয় ৫০০-৬০০ টাকায়।  মোটামুটি তা দিয়ে কোন রকমে সংসারের খরচ জুটে। তবে যখন বাদামের দাম বেড়ে যায়  তখন আমাদের লাভ কমে যায়।

তিনি বলেন আমি বাদাম বিক্রি করলেও সন্তানরা যেন বাদাম বিক্রি না করে সেই জন্য কষ্ট করে হলেও তাদের মানুষ করতে চাই। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে স্কুলে ৩য় শ্রেণীতে পড়ে, ২য় ছেলে মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে পড়ে।

মেয়েটা ছোট সেই সকালে বেলায় আরবি পড়ে মক্তবে। আমি বাদাম বিক্রি করলেও আমার স্বপ্ন অনেক। আমি চাই আমার সন্তানরা পড়া লেখা করে মানুষ হয়ে ভালো কিছু করবে। 

লক্ষ্মীপুরে বাদাম বিক্রি না করে রায়পুর এসে কেন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, বাড়ি থেকে রায়পুর আসতে প্রায় প্রতিদিন ১০০ টাকা ভাড়া খরচ হয় তাতে সমস্যা নেই বাদাম ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু লক্ষ্মীপুর শহরে আমার মতো অনেক বিক্রেতা আছে এ কারনে আমি রায়পুরে এসে বিক্রি করি।

মানুষের প্রয়োজনে অনেকে উপজেলা সামনে আসে আবার অনেক বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন কর্মসূচি থাকে তখন জনসমাগম বেড়ে যায় এতে করে আমার বিক্রি ও বেড়ে যায়। জাতির কাছে আপনার প্রত্যাশা কি এমন জবাবে তিনি বলেন, বাদাম বিক্রেতা ও মানুষ এই বিষয়টি যেন রাষ্ট্রের লোকজন চিন্তা করে। আমরা নিরীহ সকলের সহযোগীতা চাই কারন আমরা কারো ক্ষতি করিনা ব্যবসা করে পেট চালাই।
 
আগামীনিউজ/শরিফ