ডিবি পরিচয়ে অপহরণ করে টাকা দাবি, আটক ২

দিনাজপুর প্রতিনিধি অক্টোবর ৭, ২০২১, ১২:৩৮ এএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

দিনাজপুরঃ জেলার খানসামায় ডলার, কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস বেচাকেনার অভিযোগে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুই নারী ও তিন পুরুষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দু'জনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভুয়া ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তারা এক লাখ ৩০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নিয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় চিরিরবন্দর উপজেলার বেকীপুল বাজারে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলো- খানসামার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫) ও একই উপজেলার উত্তমপাড়ার জতীশ চন্দ্রের ছেলে নিতাই রায়(৩০)।

প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকার ৫১নং ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে লিটন মুন্সি, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার উত্তর রঞ্জনপুর গ্রামের স্বপনের ছেলে হৃদয় হোসেন, ঢাকার দোহার থানার বিক্রমপুর গ্রামের সোহেলের মেয়ে ময়না ও চাঁদপুরের মতলবপুর থানার একলাছপরা গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী সীমা। অন্য একজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ডলার, পাথরের মূর্তিসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস বিক্রির প্রলোভনে দুই-তিন দিন আগে ঢাকা, মাদারীপুর ও চাঁদপুর এলাকা থেকে দু'জন নারী ও তিনজন পুরুষ খানসামার আঙ্গারপাড়া এলাকার শামীম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আসে। বুধবার বিকেলে মোটরসাইকেলে ছয়জন ওই বাড়িতে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এ সময় ডলার, কষ্টিপাথরের মূর্তি বেচাকেনাসহ অবৈধ কার্যক্রম করার অভিযোগ এনে ওই পাঁচজনকে নিজেদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয় এবং তাদের কাছে থাকা এক লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুললেও চিরিরবন্দর উপজেলার বেকীপুল বাজার নামক এলাকায় তাদের মধ্যে চারজন মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়ে এবং বাকিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভুক্তভোগীরা ডিবি পরিচয় দেওয়া দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে ধরে চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে চিরিরবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ওই দু'জনকে খানসামা থানায় হস্তান্তর করে।

চিরিরবন্দর থানার ডিউটি অফিসার নিতাই চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাটি খানসামা উপজেলায় সংঘটিত হওয়ায়। আসামিদের খানসামা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।    

খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ কামাল আগামী নিউজকে জানান, আমরা আটক কৃতদের রাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে চিরিরবন্দর থানা থেকে খানসামা থানায় এনেছি। 

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,  মুলত তারা সংঘবদ্ধ জাল ডলার ব্যবসায়ী চক্র। চাকুরির সুবাদে শামিম নামের একজন একই মেসে থাকা অবস্থায় ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার সহ তাদের এখানে নিয়ে আসে।

আটককৃতদের নামে প্রতারণার প্যানাল কোর্টের  ৪০৬ /৪২০ ধারায় মামলার প্রস্তুতি ও পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বৃহষ্পতিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হবে।           

আগামীনিউজ/শরিফ