যশোর: ভারতে ৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কারাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফিরেছে ১২ যুবতী। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
‘জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি’ ও ‘জাষ্টিস এন্ড কেয়ার’ নামের দু‘টি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করার জন্য বেনাপোল এসেছেন।
ফেরত আসা যুবতীরা হলো, নরসিংদী জেলার সুমি খাতুন (২৫), খুলনার জেলার আছমা খাতুন (২৫) ও নার্গিস খাতুন (২৪), ঝিনাইদহ জেলার নাজমা বেগম (২৩), নাটোর জেলার মুক্তি খাতুন (২৪), যশোর জেলার মাহফুজা খাতুন (২৩) ও শরিফা খাতুন (২৫), কুমিল্লা জেলার সেলিনা খাতুন (২৬), বরিশাল জেলার শায়লা পারভিন (২৪), ঢাকা জেলার মিতু বেগম (২৫) ও শিরিনা খাতুন (২৪) এবং সাতক্ষীরা জেলার সুইটি খাতুন (২৪)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ১২ জন যুবতী দেশে ফিরে এসেছে। এদের ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে বেসরকারী দুটি এনজিও সংস্থা তাদের নিয়ে যাবে বলে জানান ওসি।
ফেরত আসা খুলনার আছমা খাতুন বলেন, ভালো কাজের আশায় দালালদের মাধ্যেমে গত ৩ বছর আগে ভারতের হায়দ্রাবাদে যাই। সেখানে বাসা বাড়ির কাজ করার সময় সেদেশের পুলিশ আটক করে জেল খানায় পাঠায়। পরে জেল থেকে ‘প্রজ্জলা’ নামে ভারতীয় একটি বেসরকারী এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে এনে তাদের নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস বলেন, এরা বিভিন্ন সময়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় পাচার হয়। এরপর সেখানে যেয়ে ঝুকিপূর্ন কাজ করার সময় সেদেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফেরত আসে।
জাষ্টিস এন্ড কেয়ার এর সমন্বয়কারী রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত আসাদের ইমিগ্রেশন ও থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা যশোর নিয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখব। এরপর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কেউ যদি আইনি সহায়তা চায় তাহলে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।