‘ধানক্ষেতে বৃদ্ধের মরদেহ’

টাকা ধার না দেওয়ায় বাড়িওয়ালাকে গলাকেটে হত্যা!

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৯:১২ এএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহঃ জেলার নান্দাইলে ধানক্ষেতে উদ্ধার হওয়া গলাকাটা মরদেহের পরিচয় মিলেছে। এ ঘটনায় আবুল হাসান (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকা ধার না দেওয়ায় ফজলুল হককে (৭৩) গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়, বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

নিহত ফজলুল হক নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি নরসিংদী সদরের খাটেহারা পূর্বপাড়ায় নিজ বাসায় করতেন।

গ্রেফতার আবুল হাসান জেলার নান্দাইল উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি নিহত ফজলুল হকের বাসায় স্বপরিবারে ভাড়া থেকে একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আবুল হাসানকে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার ফুলতলা গ্রামের চাঁন মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত ফজলুল হক তার স্ত্রী সন্তানসহ শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। ৭-৮ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে নরসিংদী সদরের খাটেহারা পূর্বপাড়া নিজ বাসাতেই বসবাস করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে আবুল হাসান স্ত্রীকে নিয়ে ফজজুল হকের ভাড়া বাসায় উঠেন।

ভাড়া থাকার সুবাদে ফজলুল হকের সঙ্গে আবুল হাসানের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্তায় আবুল হাসান স্ত্রীর সিজার করার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে বাসার মালিক ফজলুল হকের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেয়। তখন থেকেই আবুল হোসেন ধারণা করেন, ফজলুল হকের কাছে আরও নগদ টাকা থাকতে পারে। এই ধারণা থেকে আবুল হাসান আবারও তার আবারও টাকা ধার চাইলে ফজলুল হক টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে আবুল হাসান ফজলুল হকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং পুরো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে।

পরে কৌশলে ফজলুল হককে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আবুল হাসান নিজ বাড়ি নান্দাইলে বেড়াতে নিয়ে আসার পথে মোয়াজ্জেমপুর ইউপির কামালপুর গ্রামের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসতেই ধারালো দা দিয়ে ফজজুল হককে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেয় আবুল হাসান। পরে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে দা কিছুটা দূরে রেখে দেন। হত্যার পর ফজলুল হকের সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল নিয়ে আবুল হাসান পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় (২৮ সেপ্টেম্বর) মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চৌকিদার মজিবুর রহমান বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না জানতে আসামি আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।