ঢাকাঃ করোনার টিকা নিতে আসা সোনার চেইন চোর সন্দেহে রুনা আক্তার (২৫) নামে এক নারী গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় পপি আক্তার (২০) নামের আরেক তরুণী গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্ত চর সেতুর ঢালে হযরত আলীর বাড়িতে ঘটেছে।
এ ঘটনার পর থেকে হযরত আলী ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম পলাতক রয়েছেন। আহত পপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ডহর মন্ডল গ্রামের মহরম আলীর মেয়ে ও নিজামুদ্দিনের স্ত্রী বলে জানা গেছে। নিহত রুনা একই উপজেলার বাসিন্দা। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে বলমন্তচর সেতুর ঢাল এলাকার বাসিন্দা হজরত আলীর স্ত্রী জহুরা বেগম করোনার টিকা নিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। টিকা নেওয়ার জন্য তিনি লাইনে দাঁড়ান। বেলা ১১টার দিকে জহুরা বেগম তাঁর গলায় দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন দেখতে না পেয়ে পাশে দাঁড়ানো দুই তরুণীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেন। এ সময় জহুরা বেগম তাঁর স্বামী হজরত আলীকে সংবাদ দেন। এরপর ওই তরুণীদের ধরে বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর সেতুর ঢাল এলাকায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই বাড়িতে আশপাশের আরও কয়েকজন জড়ো হন। তারা রুনা আক্তার ও পপি আক্তারকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে রুনা আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেকজন পপি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হলে তাঁকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় কির্তনীয়া জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুনার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে হজরত আলী ও তাঁর স্ত্রী জহুরা বেগম পলাতক। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।