৭০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতা : ক্ষতিগ্রস্ত দু’শতাধিক কৃষক

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১, ১১:২৭ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

কুড়িগ্রামঃ জেলার ভূরুঙ্গামারীতে পানি নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত একটি সরকারি ডারায় বাঁধ দিয়ে মাটি ভরাট করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করায় ডারাটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টিতে জমে যাওয়া পানি বের হতে পারছেনা। এতে প্রায় ৭০০ একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই এলাকার আবাদি জমি ধান চাষের জন্য সম্পুর্নভাবে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এই জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিকার চেয়ে ওই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া ও নলেয়া মৌজার কুড়ারপার,শর্ষারডারা ও মরা দুধকুমর এলাকার বৃষ্টির পানি সলকডারা দিয়ে নেমে যেত মরা দুধকুমর নদে। সলকের ডারাটি সরকারী খাস জমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। সেই নালাটি কয়েক ব্যাক্তি মাটি ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মান ও মরা দুধকুমোর নদের মুখে একটি পুকুর তৈরী করে নদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের বিস্তৃত কৃষি জমি কয়েক ফুট পানির নিচে রয়েছে।

ওই এলাকার মজিবর, হেকমত ও মোতালেব বলেন, আমরা জমি ক্রয় করে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছি ।

কৃষক সুলতান,আব্দুল হাকিম ও নজরুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার পানি নিস্কানের জন্য একমাত্র নালাটি গ্রামের কয়েক ব্যাক্তি বাঁধ দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ ও পুকুর করায় চলতি মৌসুমে আমন চারা লাগাতে পারি নাই। আবাদ না হলে খাবো কি ? এই চিন্তায় পড়েছি।

কৃষক আনিছুর রহমান জানান, মৃত দেলোয়ার হোসেন নামক জনৈক ব্যক্তি সলকের ডারার কিছু অংশ লিজ নেয় এবং পরবর্তীতে মজিবর,হেকমত ও মোতালেবের নিকট বিক্রি করে। জমি ক্রয়ের পর ওই ডারাটি ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। শুধু তাই নয়,অপর একটি প্রভাবশালী মহল মরা দুধকুমর নদের মাথায় নিজস্ব জমিতে পুকুর খনন করায় গোটা এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার প্রায় ৭০০ একর ফসলি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এখন এসব জমিতে কৃষকেরা আমন ও বোরো ধানের আবাদ করতে পারছেনা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন , অভিযোগ পাবার পর আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। তবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনো তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।