নির্বাচনী সহিংসতা: কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ নেতাসহ নিহত ২

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০২:১৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজারঃ মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার নির্বাচনী সহিংসতায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। কুতুবদিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম (৩৫) নামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিহত হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল হালিম ওই ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছিলেন হালিম। এ সময় ছিনতাই ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য গুলি চালালে আবদুল হালিম আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শরীফ।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার জানান, নিহত ব্যক্তি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মহেশখালীর কুতুবজুম ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়ায় জামিয়ুসসুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়। নিহত আবুল কালাম ওই উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার ছোট মিয়ার ছেলে। সে বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থক বলে জানা যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের কারণে দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শেখ কামাল এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে ভোট জালিয়তি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম (৪০) নিহত হন।