গাজীপুরঃ জেলার সদর উপজেলায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ অপর শিশু রিয়ার (১০) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। সে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পাইনশাইল এলাকার সোলাইমান হোসেনের মেয়ে।
এ নিয়ে সোমবারের ওই ঘটনায় দুই বোনসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের লীডার আব্দুল জলিল লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দুরে ঝোপের পাশে পানিতে ভেসে উঠা নিখোঁজ রিয়ার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিহত রিয়ার বড় বোন রিচি আক্তার (১৫) এবং একই গ্রামের হায়েত আলীর মেয়ে আইরিন আক্তার (১৪) ও মঞ্জুর হোসেনের মেয়ে মায়া আক্তার (১৪) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের লীডার আব্দুল জলিল জানান, সোমবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার পাইনশাইল এলাকার প্রতিবেশী ৫ কিশোরী বাড়ির পার্শ্ববর্তী তুরাগ ও সালদো নদীর মোহনায় গোসল করতে যায়। তারা পানিতে নামলে ¯্রােতের টানে চার কিশোরী গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে রিচি’র লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌছে পানিতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আইরিন ও মায়া আক্তারের লাশ পানির নীচ থেকে উদ্ধার করেন। তবে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত নিখোঁজ রিয়া আক্তারের সন্ধান পাওয়া যায় নি। এদিন রাতে অন্ধকার হওয়ায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। নিখোঁজ রিয়া আক্তারের সন্ধানে পরদিন মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পুনঃরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দুরে ঝোপের পাশে পানিতে ভেসে উঠা নিখোঁজ রিয়ার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে সোমবারের ওই ঘটনায় নিহত দুই বোনসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এলাকাবাসি ও নিহতদের স্বজনরা জানান, নিহতদের মধ্যে আইরিন স্থানীয় গাছপুকুরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী, একই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া, রিচি স্থানীয় ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং মায়া একই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।