ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ঃ জেলা শহরের গোকর্ণঘাট এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে সাবিনা আখতার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ৷
শনিবার দিবাগত রাতে জেলা শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই সাবিনাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন৷
সাবিনা জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকার দেওয়ানপাড়ার সাদেক মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ জানায়, গোকর্ণঘাট এলাকার মৃত আব্দু মিয়ার ছেলে আলকাছ ৫লাখ টাকার কাবিননামায় পারিবারিক ভাবে সাবিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তান জন্মায়। শনিবার দিবাগত রাতে আলকাছের শোবার ঘরের খাটের ওপর থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না পেছানো গলায় ফাঁস লাগা সাবিনার ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।
নিহত সাবিনার বড়ভাই জুয়েল জানান, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা দেওয়া ও না দেওয়া নিয়ে সাবিনা ও আলকাছ সাংসারিক ভাবে সুখি ছিল না৷ যৌতুকের টাকার জন্য প্রায়ই ঝগড়া হতো তাদের। তাদের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তান থাকায় নানান কষ্ট সহ্য করেও আলকাছের সংসার করেন তার বোন সাবিনা৷ গতকাল রাতে তার বোন সাবিনা আলকাছের সাথে রাগ করে ওষুধ খাইনি বলে আলকাছ সাবিনার বড়ভাই সুমন মিয়াকে জানায় তারপর দু'জনের রাগ কমে। কিন্তু তারপর রাতে সাবিনার সাথে আলখাছের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে রাতেই তার স্বামী আলকাছ ও শ্বশুর বাড়ি লোকজন মিলে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন৷ আলকাছ তার বোনকে হত্যা করে নিজেও ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখেন। তার বোনের হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত আলকাছের ছোটভাই আব্বাস উদ্দিন দাবি করেন হত্যার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো।
তিনি বলেন, সাবিনা তাদের ভাবী। এ মৃত্যু কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। ভাবীকে হত্যা করার প্রশ্ন-ই উঠেনা। ভাবী কি কারনে আত্মহত্যা পথ বেঁচে নিয়েছে তা সঠিক বলতে পারছি না। ভাবীকে সাথে নিয়ে আমাদের সংসার খুব সুন্দর চলছিল। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটি উদঘাটন করার দাবি জানায়।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, আজকে গোকর্ণঘাট থেকে ফাঁসিতে ঝুঁলন্ত অবস্থায় সাবিনা নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের পর সাবিনার মুরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল
অনুমান করা যাচ্ছে গৃহবধূ ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করেছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।