রাঙামাটিঃ হক্কে হি অল হিজ্জু বুজি ন্ পাল্লুঙ (হঠাৎ কি হয়ে গেলো কিছু বুঝতে পারিনি) চাকমা ভাষায় কান্নার কন্ঠে আহাজারি অবস্থায় কথাটি বললেন ধনন জয় চাকমা।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ে বসবাসরত অবস্থায় জুমচাষ করে কোন রকমে তার পরিবারটি পরিচালনা করে। সে দিনে এনে দিনে খায় এমন পরিস্থিতির মধ্যে তার সংসার অতিবাহিত করে থাকেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এরআগে গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেক ইউনিয়নের উজো বাজার কুঠির পাড়া এলাকায় সকালে পাহাড়ে জুমচাষের কাজে পুরো পরিবারটি কাজে চলে যাওয়ার ২/৩ ঘন্টার পর হঠাৎ তার বসতবাড়িতে আগুন লেগে পুরো বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসিরা খবর দিলে এসে দেখে পুরো তার বসতবাড়িটি ততক্ষনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে জুমচাষি ধনন জয় চাকমা পরিবারটি এখন সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমনকি তার ছেলের স্কুলের বইপত্রসহ সব ধরনের পুড়ে যায়।
জুমচাষি ধনন জয় চাকমার এমন অমানবিক রাত্রিযাপনের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনে নেটওর্য়াকের কারনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগতির জন্য তার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও কোন আর্থিক সহায়তার মেলেনি বলে অভিযোগ করেন জুমচাষি ধনন জয় চাকমা।
জুমচাষি আরো অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার মাতব্বর কাছে সহায়তার হাত পাতলেও কেউ এগিয়ে না আসায় তার মনে খুব সংশয় দেখা দিয়েছে। আপাতত কোন রকমে এলাকাবাসিদের কিছু সহযোগিতায় অস্থায়ীভাবে একটি জুমঘর তৈরী করে বসবাসের জন্য ঘর তৈরী করছেন। এখন শুধু বিত্তবান ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন বলে জানান। পাশাপাশি তার ছেলের স্কুলের পড়াশোনার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুদৃষ্টির অনুরোধ জানান। যেন তার ছেলের পড়াশোনার ক্ষতিসাধিত না হয় সেজন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।