পিরোজপুরঃ জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের বাজারের সেতুর পুর্ব পাড়ের সংযোগ সড়ক ভাঙ্গন কবলিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে
কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত সময়ে সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
উপজেলা সদর থেকে বাগোলেরহাট পর্যন্ত এগারো কিলোমিটার সড়কের সাত কিলোমিটারের মাথায় পত্তাশী বাজারের প্রবেশদ্বার গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। ইন্দুরকানী হয়ে এই সড়ক পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলাসহ রায়েন্দা, মোংলা, বাগেরহাট, খুলনায় সহজ পথে যাতায়াত করে।
এছাড়া ইন্দুরকানী উপজেলার মধ্যে পত্তাশী বাজার একমাত্র খাজনা বিহীন হওয়ায় এই বাজারে সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এসে সুপারি, নারকেল, ধান ও কলা পাইকারি কিনে নিয়ে রাজধানীসহ অনান্য এলাকায় সরবরাহ করে।
সুপারীর মৌসুমে এই বাজার থেকে প্রতি সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ টাকার সুপারি ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করা হয়। সেতুর পুর্ব পার্শ্বের সংযোগ সড়কটি দেবে যাওয়ায় বর্তমানে এই সেতুটির উপর থেকে ভাড়ি পন্যবাহী পরিবহন চলতে না পারায় পন্য পরিবহন নিয়ে কিছুটা বিপাকে পরেছে ব্যাবসায়ীরা।
পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাওলাদার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ঘুর্নিঝড় আম্ফানের সময় পানির চাপে প্রথমবার সেতুর পুর্বপারের সংযোগ সড়কটি ভাঙ্গন কবলিত হয়ে দেবে যায়। তখন আমি নিজ উদ্যোগে মাটি ভরাট করে তার উপর ইটের খোয়া দিয়ে কোনরকম চলাচলের উপযোগী করি। কিন্তু (এলজিইডি) সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি জানা সত্ত্বেও সংস্কারের জন্য কর্যকরি কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করে নাই। বর্তমানে সেতুটির পুর্বপারের সড়কের সংযোগস্থল তিন চার ফুটের মত পুনরায় দেবে গিয়ে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগুরুত্বপুর্ন এই সেতুটি দিয়ে বর্তমানে ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়কের স্থায়ী সংস্কার না করলে আশংকা করা হচ্ছে যেকোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এছাড়া এই সেতুটির খালের ভিতরের কয়েকটি পিলারের পলেস্তরা সহ ঢালাই খসে পরে মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
পিরোজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে তারপরে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।