আড়াই বছর সাজাভোগ শেষে বাংলাদেশী দম্পতিকে বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর

বেনাপোল প্রতিনিধি : সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০১:০৫ এএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

যশোরঃ দালালের প্রলোভনে পরে ভাল কাজের আশায় ভারতে গিয়ে আটক এক বাংলাদেশি দম্পতিকে আড়াই বছর পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে কোলকাতা পুলিশের বিশেষ গাড়ি চেপে বিশেষ ট্রাভেল পারমিট নিয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছান পুনে জেলে আটক থাকা বাংলাদেশের এ দম্পতি।

ভারতের পুনে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া দম্পতির বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায়। 

স্ত্রী সালমা খাতুন (ছদ্দনাম) বলেন, সাতক্ষীরার জনৈক পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে ২০১৯ সালে মার্চ মাসে তারা ভারতে মুম্বাই শহরে যায়। কাপড়ের দোকানে মোটা বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। কোলকাতার এক দালাল ট্রেনে করে তাদেরকে মুম্বাই নেয়ার ৩ দিন পর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে আসার অপরাধ দেখিয়ে স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় দালালরা। পরের দিন রাতে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র তাকে পুনের বুধওয়ার পেথ নামক একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে দেয়। নিষিদ্ধ পল্লীতে অবস্থানকালে তাকে দেহ ব্যবসা করার জন্য মারধর করলে রাতের আধারে পালিয়ে নিকটস্থ থানায় আশ্রয় নেন তিনি। পুলিশ আদালতে পাঠালে তাকে দোষী করে আড়াই বছরের সাজা দেয়। সাজাভোগ শেষে দেশে ফেরার কাগজ তৈরী করতে সময় লাগে প্রায় ৮০ দিন। পুনের ফরাসখানা থানা কাগজপত্র তৈরী শেষে বিশেষ পুলিশী পাহারায় রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বাই থেকে কলিকাতার উদ্দেশে ট্রেনে রওনা দেয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বিশেষ ট্রাভেল পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসা দম্পতিকে নিয়মানুযায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঝিকরগাছা গাজিরদরগা নামক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তাদের রাখা হতে পারে।