ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার নাসিরনগরে স্বামী বিরুদ্ধে অঞ্জনা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।।
এদিকে অঞ্জনার মৃত্যুর পর স্বামী-সতীনসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে৷
শুক্রবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলায় ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের স্কুল বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার রাতে অঞ্জনাকে মারধোর করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন৷
অঞ্জনা উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের বেপারি বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে।
পুলিশ ও অঞ্জনার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধরমন্ডল গ্রামের স্কুল বাড়ি এলাকার রঞ্জু মিয়ার ছেলে কামরুল মিয়া প্রেম করে অঞ্জনাকে বিয়ে করেন। অঞ্জনা ছিল কামরুল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে তিনি খাইরুন নামের আর একজনকে বিয়ে করেছিল। ওই সংসারে একটি মেয়ে সন্তান আছে। অঞ্জনারও তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
অঞ্জনাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেন তার ভাই আব্দুল বারেক জানান, বিয়ের পর থেকে অঞ্জনা সাংসারিক ভাবে সুখি ছিল না৷ প্রেম করে বিয়ে করা ও তাদের সংসারে ৪ সন্তান থাকায় নানান কষ্ট সহ্য করেও কামরুলের সংসার করেন তার বোন অঞ্জনা৷
গতকাল রাতে কামরুল ও তার প্রথম স্ত্রী খাইরুনকে সাথে নিয়ে রাতভর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা অঞ্জনাকে মারধোর করেন। তারপর রাতেই অঞ্জনাকে হত্যা করে তারা ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখে৷ অঞ্জনাকে হত্যার পর বাড়ি থেকে কামরুলের প্রথম স্ত্রীসহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরে আজকে সকালে অঞ্জনার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ নাসিরনগর থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আজকে যখন তার বোনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়, ওই সময় তার ভাগিনা হাসান জানান, তার বাবা কামরুল মিয়া গতকাল রাতে তার মা'কে হত্যা করে সিলংয়ের সাথে ওড়না পেছিনে ফাঁসিতে ঝুলে রাখছে। তিনি তার বোনের হত্যার সঠিক বিচারের দাবি করেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, আজ সকালে অঞ্জনা নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অঞ্জনা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। অঞ্জনার মৃত্যুটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানতে পারবো।।