ঢাকাঃ পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ পথে ফেরি চলাচল চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে নদী পার হতে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এতে করে চালক ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তিতে।
জানাগেছে, পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পদ্মায় তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে প্রতিটি ফেরির নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন সময় লাগছে এবং ফেরির টিপ সংখ্যাও কমে গেছে। এদিকে বাংলাবাজার শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালক ও যাত্রীদের চরম দুভোর্গ। জনদুভোর্গ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাচঁমাল ভর্তি ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পারাপার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অন্তত ৫ কিলোমিটার জুড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও গণপরিবহনের দীর্ঘ সারি। ঘাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার অদুরে গোয়ালন্দ মোড় রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে ঘাটের উপর চাপ কমাতে। গোয়ালন্দ মোড় থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ঘাটের উদ্দেশে প্রতিটি ট্রাককে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
ট্রাক চালক শাহিন হোসেন বলেন, আমার ট্রাকটি চুড়াডাঙ্গা বাজারের পাশে থেকে লোহার কুচি লোড করে তিনদিন আগে রাত ১০ টা সময় গোয়ালন্দ মোড়ে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়ি। আজ সকালে গোয়ালন্দ মোড় থেকে এসে আবার দৌলতদিয়া ঘাটে লম্বা সিরিয়ালে আটকা পড়িছি এখন বেলা ১ টা বাজে। এখনো ফেরির দেখা মেলেনি। কখন ফেরি দেখা পাবো জানি না।
ট্রাক চালক হাসান মোল্লা বলেন, আমাদের কথা কেউতো ভাবে না। আমরা মহাসড়কের উপরে আটকে থাকি দিনের পর দিন যতো ভোগান্তি সহ্য করতে হয় আমাদের মত চালকদের। আজ দুইদিনপর গোয়ালন্দ মোড় থেকে এসে আবার দৌলতদিয়া লম্বা সিরিয়ালে আটকে আছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরী নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ( বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ফেরি ঘাট বন্ধ থাকায় এই ঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে কিছুটা ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই নৌরুটে ১৮ ফেরি চলাচল করছে।