নীলফামারীঃ জেলার সৈয়দপুরে যুদ্ধাপরাধীর সন্তানকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আজ রবিবার দুপুরে স্থানীয় আ’লীগ সংবাদ সম্মেলন করেছে। অন্যথায় সৈয়দপুর অচল করে দেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয় ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে।
শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ দলের নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আ’লীগের উপজেলা ও পৌর শাখা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন যুদ্ধাপরাধী মৃত্যু নঈম খানের ছেলে দিলনেওয়াজ খান। সে পৌর আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও অনুপ্রবেশকারী। আমরা পৌর আ’লীগ মানবতার মা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে স্থানীয়ভাবে গত ২৬ আগস্ট তাকে বহিষ্কার করি। গঠনতন্ত্র মতে পৌর আ’লীগের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে কেন্দ্রীয় আ’লীগ। সে কারণে আমাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তথ্য প্রমাণসহ লিখিত ভাবে জানাই। আর এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েই এ সংবাদ সম্মেলন ।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, আ’লীগের ছত্রছায়ায় সৈয়দপুরে উর্দূভাষী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত দিলনেওয়াজ খান দলকে ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে। এ কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে দলের। উর্দুভাষী বিহারীরা নৌকা মার্কার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। এ ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের মাদক স¤্রাট ওই দিলনেওয়াজ খান। এমন কোন নেশা নেই সেটার সাথে সে জড়িত না। তার দখলবাজি, চাঁদাবাজির কারণে সাধারণ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করছে। এ কারণেই আ’লীগের পৌর কমিটিসহ তার সাধারণ সদস্য পদও বাতিলের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। একই সঙ্গে সে যেন দলের সহযোগী বা বন্ধু সংগঠনেও থাকতে না পারে সেজন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ আ’লীগের অভিভাবক মানবতার মা শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য বলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ সন্তান মহসিন উল হক মহসিন, পৌর আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, শহীদ সন্তান অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, আ’লীগ নেতা শাহজাহান সরকার বাবলু, মহিলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুআরা বেগম, আকতার হোসেন খান, ইলিয়াছ হোসেন, শিক্ষক নেতা আনোয়ারুল হক, অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. কাওছার চপল প্রমুখ।
উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মহসিন উল হক মহসিন তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা দলকে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান দিলনেওয়াজ খানকে বহিষ্কার করেছি। আর এ বহিষ্কারাদেশ দ্রুত কার্যকর না হলে আমরা সৈয়দপুর অচল করে দেব।
মহিলা আ’লীগ নেতা আঞ্জুআরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, যুদ্ধাপরাধীর পুত্র দিলনেওয়াজ খান আমাকে পৈশাচিক ভাবে মারপিট করেছে। ভেঙ্গে দিয়েছে আমার হাত। আ’লীগকে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত করতে তিনি শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।