বরগুনাঃ জেলা সদরের ১নং ইউনিয়নের গুলিশাখালী এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ভর্তি করা হয়। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার বলে নিশ্চিত করেন বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফসল পাটোয়ারী।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ভোররাতে অযু করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখম করেছে এলাকার মো: শহিদুল ইসলাম সেলিম(৩৮) ও পিতা মাহবুবুল আলম পনু (৫৮)।
আহত মাসুম বিল্লাহ'র স্ত্রী শারমিন জাহান রাজমিন জানান, জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে সমঝোতায় আসার জন্য আমাকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয় এলাকার মাহবুবুল আলম পনুর ছেলে শহিদুল ইসলাম সেলিম। এরপর সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহর সাথে বিয়ে হলে আমাকে বিয়ে করতে না পেরে মঙ্গলবার ভোর রাতে মাসুম ফজরের নামাজ পড়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির পুকুরে অযু করতে গেলে বখাটে সেলিম ও তার সাথে থাকা কয়েকজন অজ্ঞাতনামা লোক হামলা চালায়।
এসময় মাসুম মাথায় কয়েকটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। মাসুমের চিৎকারে তারা ছুটে এসে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, মাসুম'র স্ত্রী শারমিন জাহান রাজমিনকে বিয়ে না দেয়ায় ও জমি জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত মামলা চলছে। পূর্বের মামলায় গত বৃহস্পতিবার ১নং আসামি জেলহাজতে গেলে শ্বশুরবাড়িতে থাকা নতুন জামাই কে হত্যার উদ্দেশে বাদি পক্ষের লোক মাহবুবুল আলম পনু এবং তার ছেলে শহিদুল ইসলাম সেলিম দেশিয় অস্ত্র ধারালো দাও দিয়ে মাথায় কোপ দিলে শাহালম আকনের জামাই মাসুম অচেতন হয়ে পড়ে।
মাসুমের স্ত্রী এবং শ্বাশুড়ি রোজিনা ডাক চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে তাকে ঘরে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন বদরখালী ইউনিয়নে গুলিশাখালী গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা খবর পেয়েছি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হেব।