পিরোজপুরঃ জেলার মঠবাড়িয়ায় টেলিফোন অফিসের সরকারি অফিসের পাকা দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মঠবাড়িয়ার টেলিফোন অফিসের ওয়ারম্যান কামাল শিকদার জানান, আমাদের ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে পাশ^র্বতীর্ প্রতিবেশীর সাথে দেওয়ানী আদালতে চলমান রয়েছে।
পিরোজপুরের টেলিকমের সুপার ভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পূর্ব পাশের জমিতে বকুল রাণী টেলিফোন অফিস কর্তৃপক্ষকে কোন ধরণের নোটিশ প্রদান না করে এক চেটিয়া ভাবে আমাদের জমিতে প্রবেশ করে দেয়াল নির্মাণ করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক অবগত হয়ে বরিশালের টেলিকম অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার শামিম ফকির জমির অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শণে দুজন প্রতিনিধিকে পাঠান ও পুনরায় ওই জমিতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ না করা পর্যন্ত কোন ধরণের স্থাপনা না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসিল্যান্ডকে অনুরোধ করেন।
অপরদিকে অফিসের টেলিফোন লাইনের সকল কার্যক্রম দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বিকল হয়ে আছে। যা কর্তৃপক্ষের শৈথল্যতার মূল কারণ। মেইন সড়ক হতে অফিসে প্রবেশ করতে প্রাচীন সড়কটি বন্ধকরে সেখানে কে বা কাহারা টিনের দোকান ঘর নির্মান করেছেন। যে ঘটনায় জনমনে চাঁপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অফিসটি চলছে যেন যেমন খুশি তেমন সাঝোর মত করে। ঝোঁপ ঝার বেষ্টিত টেলিফোন অফিসটি অবহেলিত হয়েছে মোবাইল আবিস্কারের ডিজিটাল সভ্যতার শীর্ষে অবস্থান করায় আজ এক অতীত ইতিহাসের ক্ষীণ স্বাক্ষী হয়ে আছে।
সদ্য দেয়াল নির্মানকারী বকুল রাণী বলেন, আমার বাবা অনন্ত কুমার ১৯৮১ সনে আমার নামে রাস্তা সংলগ্ন ডোবা হতে ৫ কাটা সাব কবলা জমি দলিল মুলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। যে জমি হতে সারে দিন কাঠা জমি টেলিফোন অফিস একর করে নেয়। বরং সে জমি বাদ দিয়ে আমি দের কাঠা জমি সঠিক ভাবে পরিমাপ করে আমি আমার জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছি। যে জমিতে দেয়াল নির্মাণের সময় অফিস কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ করেননি।