হঠাৎ নিশ্চুপ বরিশালের প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্ট আগস্ট ২২, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ব্যানার অপসারণ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে হঠাৎই নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। ওই ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেও পরবর্তী সময় থেকে গণমাধ্যমে কথা বলছে না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান। প্রশাসনের অন্যরাও বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে আজ রোববার ইউএনও এবং কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহ আরো কয়েকজনার বিরুদ্ধে করা হয়েছে দুটি মামলা। এসব মামলার বিষয়েও প্রশাসনের পক্ষ থেকে  পাওয়া যায় নি উল্লেখযোগ্য মতামত। তবে বুধবারের পর থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সহ সেই রাতের ঘটনার বিপরীত পক্ষের গণমাধ্যমে ছিলো সরব উপস্থিতি।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে হত্যাচেষ্টা, সিটি কর্পোরেশনের কাজে বাধাদান, বিনা উসকানিতে বিসিসির কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেয়া, হামলা, গুলিবর্ষণের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানির অভিযোগে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  সহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন করা হয়।

জেলার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রোববার বেলা ১১টার দিকে এ আবেদন করেন বরিশালের প্যানেল মেয়র-২ রফিকুল ইসলাম খোকন ও সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার।পরবর্তীতে মামলার বিষয়ে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ইউএনওর বাসভবনে হামলা, তাকে হত্যাচেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা দেবার অভিযোগে সিটি কর্পোরেশন মেয়রকে প্রধান আসামী করে দুটি মামলা দায়ের করে সদর উপজেলার  ইউএনও এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সেই মামলা দুটিতে এখন পর্যন্ত ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

রোববার করা দুটি মামলার আবেদনে প্রধান আসামী হিসেবে উল্লেখিত ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। হাইকমান্ড থেকে তাকে মিডিয়ায় কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সার্বিক ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের মন্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

অন্যদিকে পুলিশকে আসামী করে মামলা দায়েরের ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ওসিকে মামলার আসামি করাটা পেশাগত বিড়ম্বনার একটি অংশ। আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা এ ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তবে আইনী প্রক্রিয়াই বিষয়টি সমাধান করবে। এরচেয়ে বেশি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না আপাতত।