গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারুলের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার সন্ধ্যার দিকে খোকা মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বিষ প্রাণ করিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজকে থেকে ৮ বছর আগে সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের খোকা মিয়ার সাথে তিন লাখ টাকার কাবিননামায় পারুল বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ছয় বছরের একটি ছেলে ও তিন বছরের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু তাদের সংসার তেমন সুখের ছিল না। কারন খোকা মিয়া যৌতুকের টাকার জন্য পারুলের সাথে ঝগড়া করতো। একাধিকবার এসব সমস্যা নিয়ে উভয় পরিবারের লোকরা সালিসিও করেন। কেউ তা সমাধান করতে পারেননি। গত দুইদিন আগেও যৌতুকের টাকার জন্য প্রথমে পারুলকে মারধোর করেন খোকা। তারপর পারুলকে বিষ প্রাণ করিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন খোকা মিয়া।
এ-খবর পেয়ে তার আত্মীয়রা পারুলের শ্বশুর বাড়ি থেকে পারুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারুল মারা যায়। পারুল মারা যাওয়ার পর তার স্বামী-শ্বাশড়িসহ শ্বশুর বাড়ির কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি একজন মহিলা বিষ প্রাণ করে মারা গেছে। তবে কেউ বিষ প্রাণ করিয়ে হত্যা করেছে কিনা তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা কঠিন। নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রেক্ষিতে অবশ্যই ভিকটিমকে আইনী সহযোগিতা দেওয়া হবে।