কুষ্টিয়াঃ জেলার কুমারখালীতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় নিহতের চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার নামের আরো একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর হঠাৎপাড়া তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আহত হোসেন আলী মাস্টারকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনই হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকার হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন নিহতের বোন জামাই। এ নিয়ে দুপুরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বসানো হয়। মোক্তার প্রামাণিক ৮-১০ জনকে সাথে নিয়ে বৈঠকে হাজির হন। কিন্তু অভিযুক্ত বোন জামাই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় হেলালের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোক্তার প্রামাণিককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আহত হোসেন আলী মাস্টারের ছেলে সাখাওয়াত মুঠোফোনে জানান, বাবা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক চলাকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।