বাঘাইছড়িতে উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়ন কাজ পরিদর্শনে চেয়ারম্যান নিখিল কুমার

নিউটন চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৭:০৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটিঃ জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। দায়িত্ব গ্রহণের পর বাঘাইছড়ি উপজেলাতে এই প্রথম সফরে গেলেন চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

আজ মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট  বাঘাইছড়ি উপজেলার দুরছড়ির খেদারমারা বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছন নবনিযুক্ত পাবর্ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি নিখিল কুমার চাকমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর বিহারের অধ্যক্ষ ভাবনা ধর্মীয় গুরু জগাসিদ্ধি ভান্তের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ভান্তের উপদেশ ও দিকনির্দেশনা মনোযোগ দেন।

ধর্মীয় গুরু জগাসিদ্ধি ভান্তে উপদেশকালে বলেন, দুরছড়ি বাজার থেকে ভাবনা কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটি দুরত্ব ও দুরছড়ি বাজারের প্রবেশ পথে সেতুটি পুনরায় নির্মাণের বৌদ্ধ ভিক্ষু অনুরোধ করেন। চেযারম্যান এগুলো পুনঃনির্মাণের  প্রতিশ্রুতি প্রদান ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস দেন।  বিহার পরিদশর্ন শেষে দুরছড়ি বাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয় নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ীদের  সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন

বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র জাফর আলী খান, ওসি বাঘাইছড়ি আনোয়ার হোসেন খান, প্রেসক্লাবের সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি জমির হোসেন উপস্থিত প্রমূখ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেযারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সাথে সফর সঙ্গী হিসেবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য এলিপন চাকমা, উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান মোহাম্মদ নোমান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আমতলী ইউনিয়নের উন্নয়ন বোর্ডের ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি সেতু পরিদর্শনসহ বেশকিছু চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে লংগদু উপজেলায় যান। লংগদু উপজেলার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ব্যয়ে বিভিন্ন নির্মিত কাজ পরিদশর্ন শেষে রাঙামাটির উদ্দেশ্য রওনা করেন।