খড়খড়িয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক কাজ

জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি আগস্ট ১১, ২০২১, ০৫:০২ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

নীলফামারীঃ জেলার সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ রক্ষায় জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলছে দূর্দান্ত গতিতে। বন্যার তোড়ে যাতে জন চলাচলের রাস্তা ও ফসলি জমির কোন ক্ষতি না হয় সেই জন্য জরুরী ভিত্তিতে এ কাজ  করা হচ্ছে।

রংপুরের শেখ কন্সট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি করছে। বাধের এ প্রতিরক্ষামূলক কাজটি চলছে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া ও কুঠিপাড়া এলাকায়। গত ২৯ জুলাই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কার্যাদেশ দেয়া হলে কাজ শুরু হয় ১ আগস্ট থেকে। আর চলতি মাসেই কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) সৈয়দপুর প ও র বিভাগ কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ৫১০ মিটার দৈর্ঘ্যর এ কাজটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। অথচ প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। সরকার বরাদ্দকৃত অর্থের ১২ লাখ টাকা কম ব্যয় হচ্ছে এ কাজটি বাস্তবায়নে। এ কাজের প্যাকেজ নম্বর হলো এনডিআরইপিপি-৩৩।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, বাধ রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক এ কাজে জিও ব্যাগ ২ হাজার ৬২৫, বালূ ও সিমেন্ট মিশ্রিত গানি ব্যাগ ২২ হাজার ২৭৬, সিনথেটিক ব্যাগ ৪ হাজার ৬৭২টি ব্যবহার করা হবে। এ সব ব্যাগ ব্যবহারের আগে করা হবে বাঁশের পাইলিং ও বুল্লি।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছে। টাস্কফোর্স কমিটিতে দপ্তরের ভিন্ন জেলার প্রকৌশলী ও ভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি থাকছে।

এ কমিটিকে মনিটরিং করছে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন। বাধ বিষয়ে কথা বলা হয় একাধিক এলাকাবাসীর সঙ্গে। তারা জানান, বন্যার পূর্বেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ রক্ষার্থে জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাষ নিচ্ছে। তাদের মতে কোনভাবেই এই বাধটি বন্যার তোরে ভেঙ্গে গেলে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম বিড়ম্বনার সৃষ্টি হতো। বিনষ্ট হতো কয়েক হাজার ফসলি জমি। সরকারের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেয়ায় সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে বাধ ভাঙ্গার চিন্তা উবে গেছে।