মানবিক সেবামূলক সংগঠন 'বাতিঘর' ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর উদ্যোগে দশ সদস্যের চিকিৎসক টিম নিয়ে সকাল থেকে এই কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়।
'বাতিঘর'-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, ২৪ ঘন্টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দারা তাদের সমস্যায় ফোন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। রোগীদের সুবিধার্থে ১০টি হটলাইন নাম্বার ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে। ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা ও মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা রোগীদের নিঃশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থাও করছে তারা। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পাশাপাশি অজ্ঞাত মরদেহের শেষকৃত্যানুষ্ঠান করার কাজও করে যাচ্ছে বাতিঘর।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পদ থেকে সদ্য অবসর নেওয়া চিকিৎসক মো. শওকত হোসেন এই চিকিৎসক টিমের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। তার নেতৃত্বে টেলিমেডিসিন চিকিৎসক টিমে আরো থাকবেন-- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. খোকন চন্দ্র দেবনাথ, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডা. শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ, ডা. মাহফিদা আক্তার হ্যাপি, ডা. ইনজামামুল হক সিয়াম, ডা. আকিব জাবেদ রাফি, ডা. শাখাওয়াত তানভীর তানিম ও ডা. তানভীর চৌধুরী।
হট লাইনের নম্বরগুলো হচ্ছে, ০১৭১১৪৬০১৮৫, ০১৭১১৩২১৩১৯, ০১৭১৩৬৬১৯০৮, ০১৮৭১০১০০০৩, ০১৭১০-৮১৮৬৬৮, ০১৯৭৮০৯১৭১৮, ০১৯৭৮০৯১৭১৯, ০১৭১৬৭১০০৭৩, ০১৩১৯-৭০৩০৪৩ ও ০১৭১৮৫৬৮০৮৩। উল্লিখিত নম্বরগুলোতে ফোন করলে গাইনীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিবেন।
বাতিঘর এর উদ্যোক্তা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা, অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা ও মরদেহের শেষকৃত্যের পাশাপাশি প্রতিদিন মুমূর্ষু রোগীর জন্য বিনামূল্যে রক্তের ব্যবস্থা করছে বাতিঘর। শুধু তাই নয়, বাতিঘরের নিবেদিতপ্রাণ সদস্যরা দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করাসহ খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
বাতিঘর এর সমন্বয়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে আমরা এ সেবার ব্যবস্থা করেছি। করোনাকালে ঘরে বসেই সাধারণ মানুষ যেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন সেজন্য টেলিমেডিসিন সেবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দারা যে কোন স্থান থেকে ফোন করে যে কেউ প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন। এতে জনগণ কিছুটা উপকার পেলেই আমরা সার্থক।
এ ধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, যেহেতু এটি একটি ভাল কাজ তাই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সকল ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।